মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর
"মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান।মুক্তিযোদ্ধা তথা জাতির বীর সন্তানেরা কোন পরিবার বা গোষ্ঠীর নয় তারা পুরো বাঙ্গালী জাতির অহংকার । "
১৯৭১ সালে সংগঠিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচলনায় অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য সমগ্র ভূখন্ডকে বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্র বা সেক্টরে ভাগ করা হয়।
যুদ্ধক্ষেত্র |
বিস্তৃতি |
কমান্ডার |
১নং
সেক্টর |
চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার অংশবিশেষ (মুহুরী নদীর
পূর্ব পাড়
পর্যন্ত) |
মেজর রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম |
২নং
সেক্টর এবং
"কে"
ফোর্স |
ফরিদপুর এর পূর্বাঞ্চল, ঢাকা
শহরসহ ঢাকা
জেলার দক্ষিণাংশ, কুমিল্লা জেলা
(আখাউড়া-আশুগঞ্জ রেললাইনের উত্তরাংশ বাদে)
এবং
নোয়াখালী জেলা
(মুহুরী নদীর
পূর্বাঞ্চল বাদে) |
মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ, বীর উত্তম |
৩নং
সেক্টর এবং
"এস"
ফোর্স |
কুমিল্লা জেলার অংশবিশেষ (আখাউড়া-আশুগঞ্জ রেললাইনের উত্তরাংশ), সিলেট জেলার অংশবিশেষ (লাখাই-শায়েস্তাগঞ্জ লাইনের দক্ষিণাংশ), ঢাকা
জেলার উত্তরাংশ ও
ময়মনসিংহ জেলার কিশোরগঞ্জ মহকুমা |
মেজর জেনারেল কে.এম.সফিউল্লাহ, বীর উত্তম |
৪নং
সেক্টর |
সিলেট জেলার অংশবিশেষ (১)
পশ্চিম সীমান্ত: তামাবিল-আজমিরীগঞ্জ-লাখাই লাইন
এবং
(২)
দক্ষিণ সীমান্ত: লাখাই-শায়েস্তাগঞ্জ লাইন |
মেজর জেনারেল সি.আর.দত্ত, বীর উত্তম |
৫নং
সেক্টর |
সিলেট জেলার বাকি অঞ্চল (তামাবিল-আজমিরীগঞ্জ লাইনের পশ্চিমাংশ) |
লেঃ জেনারেল মীর শওকত আলী, বীর উত্তম |
৬নং
সেক্টর |
যমুনার পশ্চিমে রংপুর ও দিনাজপুর জেলা, দিনাজপুরের রাণীশঙ্কৈল-পীরগঞ্জ-বীরগঞ্জ লাইনের উত্তরাংশ ও
রংপুর জেলার পীরগঞ্জ-পলাশবাড়ী লাইনের উত্তর ও
পূর্বাঞ্চল |
এয়ার ভাইস-মার্শাল এম.কে.বাশার, বীর
উত্তম |
৭নং
সেক্টর |
সমগ্র বগুড়া, রাজশাহী ও পাবনা জেলা, দিনাজপুর ও
রংপুরের অংশবিশেষ (দিনাজপুরের রাণীশঙ্কৈল-পীরগঞ্জ লাইনের দক্ষিণাংশ ও
রংপুরের পলাশবাড়ী-পীরগঞ্জ লাইনের দক্ষিণাংশ) |
লেঃ কর্ণেল কাজী নুরুজ্জামান, বীর উত্তম আগষ্ট ১৯৭১
থেকে মেজর নাজমুল হক আগষ্ট ১৯৭১ পর্যন্ত |
৮নং
সেক্টর |
কুষ্টিয়া ও যশোর এর সমগ্র এলাকা, ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ, খুলনা জেলার সাতক্ষীরা মহকুমা। সীমানাঃ উত্তরে পদ্মা নদী।
পদ্মা-যমুনার মোহনা থেকে
মাদারীপুর পর্যন্ত এর
পূর্ব সীমান্ত এবং
মাদারীপুর-সাতক্ষীরা কাল্পনিক লাইন
ছিল
দক্ষিণ সীমান্ত |
মেজর
জেনারেল এম.এ.মনজুর, বীর
উত্তম |
৯নং
সেক্টর |
সমগ্র বরিশাল, পটুয়াখালী ও
খুলনা জেলা
(সাতক্ষীরা বাদে),
ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ এবং
গোপালগঞ্জ |
মেজর
এম.এ.জলিল |
১০নং
সেক্টর |
কোন
আঞ্চলিক সীমানা ছিল
না।
কেবলমাত্র নৌ-কম্যান্ডোদের
নিয়ে গঠিত। যে
সেক্টরের এলাকায় কম্যান্ডো অভিযান চালানো হতো,
কম্যান্ডোরা সেই
সেক্টর কমান্ডারের অধীনে কাজ
করত। |
-- |
১১নং
সেক্টর |
কিশোরগঞ্জ মহকুমা বাদে
সমগ্র ময়মনসিংহ ও
টাঙ্গাইল জেলা। উত্তরে যমুনা নদীর
তীরে
বাহাদুরাবাদ ঘাট
ও
ফুলছড়ি ঘাট |
কর্ণেল এম.আবু তাহের, বীর উত্তম |
জেড্
ফোর্স |
১১
নং
সেক্টর এলাকায় যুদ্ধ করে।
যুদ্ধের শেষ
পর্যায়ে নভেম্বর ও
ডিসেম্বর মাসে
সিলেট জেলায় যুদ্ধ করে |
লেঃ জেনারেল জিয়াউর রহমান, বীর উত্তম |
টাঙ্গাইল এলাকার স্বতন্ত্র সেক্টর |
১১
নং
সেক্টর এলাকা |
কাদের সিদ্দিকী |
আকাশপথ |
বাংলাদেশের সমগ্র আকাশসীমা |
গ্রুপ ক্যাপ্টেন এক.কে. খন্দকার |
গুরত্বপূর্ণ প্রশ্ন গুলো পড়ে নিন
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গুরত্বপুর্ন প্রশ্ন ও উত্তর
একনজরে বঙ্গবন্ধু; গুরুত্বপূর্ণ ভাইভা ও প্রশ্ন
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্বপূর্ণ ভাইভা প্রশ্ন ও উত্তর
ভাইভা বোর্ডে অবশ্য পালনীয় গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়
শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দেন-রেসকোর্স ময়দানে
অপারেশন সার্চসাইট-১৯৭১ সালেরৈ ২৫ মার্চ রাতের ঘটনা
বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষণা করেন- শেখ মুজিবুর রহমান, ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে
(পরে ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের আওয়ামী নেতা এম এ হান্নান চট্টগ্রাম বেতার থেকে শেখ মুজিবের পক্ষ থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করেন। ২৭ মার্চ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দেন-জিয়াউর রহমান
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র স্থাপিত হয়-২৬ মার্চ, ১৯৭১ চট্টগ্রামের কালুঘাটে
মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়-১০ এপ্রিল ১৯৭১, শপথ নেয়-১৭ এপ্রিল ১৯৭১
প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার গঠিত হয়-১৭ এপ্রিল ১৯৭১
বাংলাদেশ প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হয়-১৭ এপ্রিল ১৯৭১
অস্থায়ী সরকারকে শপথ বাক্য পাঠ করান অধ্যাপক ইউসুফ আলী (১৭ এপ্রিল)
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন-অধ্যাপক ইউসুফ আলী (১৭ এপ্রিল)
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়-মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে
মুজিবনগরের অস্থায়ী সরকারের সদস্য-৬জন
রাস্ট্রপতি (সরকার প্রধান)-শেখ মুজিবুর রহমান
অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি/প্রেসিডেন্ট-সৈয়দ নজরুল ইসলাম (উপপরাস্ট্রপতি, অস্থায়ী রাস্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন)
প্রধানমন্ত্রী-তাজউদ্দীন আহমেদ
অর্থমন্ত্রী-ক্যাপ্টেন মনসুর আলী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-এ এইচ এম কামরুজ্জামান
আইন, সংসদীয় ও পরাষ্ট্রমন্ত্রী-খন্দকার মোশতাক আহমদ
(এদেরকেই জাতীয় চার নেতা বলে অভিহিত করা হয়)
মুজিবনগর অবস্থিত- মেহেরপুরে
মুজিবনগরের পুরাতন নাম- বৈদ্যনাথতলার ভবেরপাড়া
মজিবনগর নামকরণ করেন-তাজউদ্দীন আহমেদ
মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়-১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল
অস্থায়ী সরকারের সচিবালয়-৮ থিয়েটার রোড, কলকাতা
প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গডে তোলে-ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট
মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক- জেনারেল এম এ জি ওসমানী
জেনারেল ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক পদে নিয়োগ দেয়া হয়-১৮ এপ্রিল ১৯৭১
বিমান বাহিনীর প্রধান-ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার
গুরত্বপূর্ণ প্রশ্ন গুলো পড়ে নিন
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গুরত্বপুর্ন প্রশ্ন ও উত্তর
একনজরে বঙ্গবন্ধু; গুরুত্বপূর্ণ ভাইভা ও প্রশ্ন
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্বপূর্ণ ভাইভা প্রশ্ন ও উত্তর
ভাইভা বোর্ডে অবশ্য পালনীয় গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়
উইকিপিডিয়া ও ইন্টারনেট হতে তথ্য, ছবি সংগৃহীত
No comments:
Post a Comment