Showing posts with label Label5. Show all posts
Showing posts with label Label5. Show all posts

Thursday, November 23, 2023

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ এর ইতিহাস

 ঢাকায় প্রথম বিদ্যুৎ এর আগমন

ঢাকায় তথা বাংলাদেশে প্রথম বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল বিংশ শতকের প্রথম বছর। আর এর আর্থিক সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন ঢাকার নবাব আহসানউল্লাহ। ৭ই ডিসেম্বর, ১৯০১ সালে প্রথম ঢাকার রাস্তায় বিদ্যুতের বাতি জ্বলে উঠে। এর পূর্বে ১৯০১ সালের জুলাই মাসে ঢাকা পৌরসভা কর্তৃক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয় যে সকল রাস্তায় ও এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে তার নাম। পৌরসভার অধীনে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য "দি ঢাকা ইলেকট্রিক ট্রাস্টিস" নামে পরিষদ গঠন করা হয় এসময়। 


স্বাধীনতার পূর্বের ইতিহাস

১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসকরা চলে যাবার সময় বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাটি ছিল একেবারে বিচ্ছিন্ন ধরনের, এ সময় কোন দূরবর্তী ট্রান্সমিশন ব্যবস্থা ছিল না। কিছু সুনির্দিষ্ট এলাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন হত সে সকল এলাকায় ব্যবহারের জন্য। বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হত বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়। এছাড়া কিছু শিল্প (চাচিনি এবং টেক্সটাইল) এবং রেলওয়ে ওয়ার্কশপে নিজস্ব উৎপাদিত বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হত। অধিকাংশ জেলাগুলিতে শুধুমাত্র রাতের বেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো। শুধুমাত্র ব্যতিক্রম ছিল ঢাকা শহর যেখানে দুটি ১৫০০ কিলোওয়াটের জেনারেটর দ্বারা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো এবং উৎপাদিত বিদ্যুৎ ছিল ৬৬০০ ভোল্টের। পাওয়ার ইউটিলিটি কোম্পানীর কর্তৃক উৎপাদন ক্ষমতা ছিল মাত্র ৭ (সাত) মেগাওয়াট এবং দেশের সর্বমোট উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ২১ মেগাওয়াট।

১৯৪৮ সালে বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিস্থিতির পরিকল্পনা ও উন্নয়নের জন্য বিদ্যুৎ অধিদপ্তর তৈরি করা হয়। ১৯৫৯ সালে পানি ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (ওয়াপদা) তৈরি করা হয়। ১৯৬০ সালে, উচ্চতর ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করা হয় সিদ্ধিরগঞ্জচট্টগ্রাম ও খুলনায় (সর্বোচ্চ উচ্চক্ষমতার কেন্দ্রের আকার ছিল সিদ্ধিরগঞ্জে ১০ মেগাওয়াটের স্টিম টারবাইন)। তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের আমলে ১৯৫৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হয় ও ১৯৬২ সালে এটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়। কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ প্রকল্পে ২টি ৪০ মেগাওয়াটের জেনারেটর স্থাপন করা হয়, যা তৎকালীন সময়ের জন্য একটি বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়। এর পাশাপাশি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের মধ্যে ১৩২ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন স্থাপনের কাজ চলে। কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণ এবং ঢাকা-চট্টগ্রামের ট্রান্সমিশন লাইন কমিশনিং এই দেশের বিদ্যুৎ খাত উন্নয়নের প্রথম মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।১৯৬০ সাল থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের তথা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা গিয়ে দাঁড়ায় ৮৮ মেগাওয়াট থেকে ৪৭৫ মেগাওয়াট। যার অধিকাংশই উৎপাদিত হত প্রাকৃতিক গ্যাস ও তেল চালিত জেনারেটর দ্বারা, স্টিম টারবাইন জেনারেটর দ্বারা এবং জল বিদ্যুৎ থেকে।


স্বাধীনতার পর থেকে একবিংশ শতকের শুরুর আগ পর্যন্ত

বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭২ সালে বিদ্যুৎ খাতের সার্বিক উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে গতি প্রদান করতে


সাম্প্রতিক পোস্ট সমূহ

Recent Posts Widget