Friday, December 1, 2023

সার্কিট ব্রেকার বলতে কি বুঝ? বিভিন্ন প্রকার সার্কিট ব্রেকার এর নাম ও ব্যবহার লিখ। Magnetic Contactor কি ? এটি কি ভাবে কাজ করে। Over Load Relay কি ? ওভারলোড রিলে কত প্রকার ও কি কি? Auto-Reclosure কি? ফিউজ ও সার্কিট ব্রেকার এর মধ্যে পার্থক্য লিখ।

 প্রশ্নঃ সার্কিট ব্রেকার বলতে কি বুঝ?

উত্তর : সার্কিট ব্রেকার একটি স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র যা নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে। অর্থাৎ এটি এমন একটি ডিভাইস যা ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিকস যন্ত্রপাতিকে নিরাপদ রাখে। যখন লাইনে অতিরিক্ত পরিমান বিদ্যুৎ প্রবাহ হয় তখন (যন্ত্রপাতিতে) যেকোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যা সার্কিট ব্রেকার রক্ষা করে থাকে।

একটি সার্কিট ব্রেকারে স্থির(Fixed) ও চলমান(Moving) দুটি কন্টাক্ট থাকে। পাওয়ার সিস্টেমে স্বাভাবিক অবস্থায় এই কন্টাক্ট দ্বয় Closed অবস্থায় থাকে এবং ফল্ট যুক্ত অবস্থায় Open থাকে। চলনশীল কন্টাক্ট পরিচালনার জন্য সি টি, রিলে ও ট্রিপ কয়েলের সংযোগ চিত্র চিত্রে দেখানো হয়েছে। সার্কিট ব্রেকারের চলনশীল কনট্রাকটরটি পরিচালনার জন্য একটি সয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনার সাথে একটি ট্রিপ কয়েল থাকে। এটি প্রয়োজনের সময় লাইনে অবস্থিত সিটি এর সেকেন্ডারি কারেন্ট দিয়ে উদ্যমশীল হয়। তবে চলনশীল কনট্রাকটরটি রিমোট কন্ট্রোল বা ম্যানুয়ালী অপারেট করা যায়। যখন কোন ফল্ট সংঘটিত হয়, তখন সার্কিট ব্রেকারের কন্ট্রাক্ট সয়ংক্রিয় ভাবে খোলার সাথে সাথে আর্ক সৃষ্টি হয়। এই আর্ক নির্বাপণ করতে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন হয়। ত্রুটি যুক্ত অংশ থেকে সুস্থ অংশকে আলাদা করে দ্রুত আর্ক নির্বাপণ করাই সার্কিট ব্রেকারের প্রধান কাজ। 

প্রশ্নঃ বিভিন্ন প্রকার সার্কিট ব্রেকার এর নাম ও ব্যবহার লিখ।

উত্তর ঃ SPCB = Single pole Circuit Braker,

            DPCB = Double Pole Circuit Braker,

            MCCB = Molded Case Circuit Braker,

            MCB = Miniature Circuit Braker,

  • For Instrument Safety
  • For Over Load Protection
  • For Short Circuit Protection
  • For 1/2/3/4 Pole

            RCCB = Recidual Current Circuit Braker,

  • For Earth falt Protection
  • For Leakage Current Protection
  • For 2/4 Pole
  • For Humen Safty

            ELCB = Earth Leakage Circuit Braker.

  • Earthing is Mandatory
  • Now it is not Use.

প্রশ্নঃ ফিউজ ও সার্কিট ব্রেকার এর মধ্যে পার্থক্য লিখ। 

উত্তর ঃ ফিউজ ও সার্কিট ব্রেকার এর মধ্যে পার্থক্য হলঃ 

  1. ফিউজের তুলনায় সার্কিট ব্রেকারের রেন্সপন্স টাইম কম।
  2. ফিউজ, সার্কিট ব্রেকারের তুলনায় অনেক সস্তা।
  3. সার্কিট ব্রেকারকে সুইচ হিসাবে ব্যবহার করা যায়।
  4. ফিউজ কেটে গেলে পুনরায় চালু করতে এর তার পাল্টাতে হয়, আর সার্কিট ব্রেকার শুধু অন করে দিলে হয়। 

প্রশ্নঃ Magnetic Contactor কি ? এটি কি ভাবে কাজ করে। 

উত্তর ঃ ম্যাগনেটিক কন্টাক্টর হচ্ছে একটি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক সুইচিং ডিভাইস।
এটি সাধারণত থ্রি-ফেজ মোটর কন্ট্রোলিং এর জন্য ব্যাবহার করা হয়। ইন্ডাস্ট্রিতে এর ব্যাবহার অনেক বেশী।

ম্যাগনেটিক কন্টাক্টর এর অপারেশন অনেকটা রিলের মতই, তবে রিলে ব্যাবহার করা হয় লো পাওয়ার বা লো ভোল্টেজ কানেকশনের জন্য, আর ম্যাগনেটিক কন্টাক্টর ব্যাবহার করা হয় হাই পাওয়ার বা হাই ভোল্টেজ কানেকশনের জন্য।
*রিলের মতো এতেও ইন্টারনাল কয়েল রয়েছে। এর কয়েল AC এবং DC দুই ধরণেরই হয়।  কয়েল টার্মিনাল সাধারণত (A1, A2) হয়ে থাকে। এর কয়েল সাধারণত AC 220v, 360v, 440v DC 24v ইত্যদি রেঞ্জের হয়ে থাকে। তবে এছারাও বিভিন্ন রেঞ্জের হতে পারে।

*থ্রি-ফেজ কানেকশনের জন্য এতে (L1, L2, L3 & T1, T2, T3 অথবা R, S, T & U, V, W) এ ধরণের টার্মিনাল থাকে। এর উপরের প্রান্তে (L1, L2, L3) থ্রি-ফেজ পাওয়ার কানেকশন করা হয় এবং নিচের প্রান্তে (T1, T2, T3) থ্রি-ফেজ মোটর কানেকশন করা হয়।
*এছারাও এতে রয়েছে অক্সিলারী কন্টাক্ট NO, NC (নরমালি ওপেন এবং নরমালি ক্লোজ কন্টাক্ট) ।
ম্যাগনেটিক কন্টাক্টরের কয়েলে সাপ্লাই দেওয়া মাত্রই এর নরমালি ওপেন কন্টাক্ট গুলো ক্লোজ এবং নরমালি ক্লোজ কন্টাক্ট গুলো ওপেন হয়ে যায় এবং এর সাথে যুক্ত আনুসাঙ্গিক ডিভাইস গুলোও অপারেট হয়।
এভাবেই একটি ম্যাগনেটিক কন্টাক্টর কাজ করে থাকে।

প্রশ্নঃ Over Load Relay কি ?

উত্তর ঃ অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যয় বহুল মোটরের সুরক্ষার জন্য সাশ্রয়ী একটি ডিভাইস হচ্ছে ওভারলোড রিলে। এই ডিভাইস কারেন্ট বা ভোল্টেজ ওভারলোড বা অতিরিক্ত তাপমাত্রা বা ফেইজ ভুলের ক্ষেত্রে মোটরের জন্য নির্ভরযোগ্য সুরক্ষা প্রদান করে। 

ওভারলোড রিলে বৈদ্যুতিক মোটরকে সুরক্ষা প্রদান করে আর সম্পূর্ণ সার্কিটের সুরক্ষার জন্য সাথে সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার করা সহ মোটর নিয়ন্ত্রনে ম্যাগনেটিক কন্টাক্টর ব্যবহার করা হয়। 

প্রশ্নঃ ওভারলোড রিলে কত প্রকার ও কি কি? সংজ্ঞা সহ ।

উত্তর ঃ ওভারলোড  হওয়ার কত সময় পর ইঙ্গিত প্রদান করবে তার উপর ভিত্তি করে ইহাকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়ঃ 

  1. ক্লাস - ১০
  2. ক্লাস - ২০ ও
  3. ক্লাস - ৩০ 

শ্রেনীর নম্বর গুলো প্রতিক্রিয়া প্রদানের সময় ( সেকেন্ড ) নির্দেশ করে। সাধারণত এটি ওভারলোড রিলের গায়ে স্পেসিফিকেশনে লেখা থাকে, আর লেখা না থাকলে ক্লাস - ২০ ধরে নিতে হয়। 

কাজের প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করে ওভারলোড রিলেকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়ঃ 

  1. থার্মাল ওভারলোড রিলে
  2. ম্যাগনেটিক ওভারলোড রিলে
  • থার্মাল ওভারলোড রিলেঃ ইহা বৈদ্যুতিক মোটরের সুরক্ষার জন্য ব্যবহৃত এমন একটি সুরক্ষা ডিভাইস যা কোন মোটরে নিদিষ্ট সময় যাবত অতিরিক্ত কারেন্ট প্রবাহ করলে, পাওয়ার সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এখানে মূলত থার্মোকাপল ব্যবহার করা হয় যা অতিরিক্ত কারেন্ট প্রবাহের দরুন গরম হয়ে রিলের সুইচ অফ করে দেয়। 

  • ম্যাগনেটিক ওভারলোড রিলেঃ এটি মোটরের প্রবাহিত কারেন্ট দ্বারা উৎপন্ন চৌম্বক ক্ষেত্রের শক্তি সনাক্ত করে পরিচালিত হয়। মোটরে মাত্রাতিরিক্ত কারেন্ট নিদিষ্ট সময় যাবত প্রবাহিত হলে উৎপন্ন ফ্লাক্স একটি কোর টেনে ওভারলোড রিলেকে ট্রিপ/বন্ধ করে দেয়। 

প্রশ্নঃ থার্মাল ওভারলোড রিলে ও ম্যাগনেটিক ওভারলোড রিলের মধ্যে মূল পার্থক্য কি? 

উত্তর ঃ থার্মাল ওভারলোড রিলে ও ম্যাগনেটিক ওভারলোড রিলের মধ্যে মূল পার্থক্য হল  ম্যাগনেটিক  ওভারলোড রিলে পারিপারশ্চিক তাপমাত্রার উপর নির্ভরশীল না হয়ে প্রবাহিত কারেন্টের উপর নির্ভরশীল ।

প্রশ্নঃ ফিউজ কি? এটি কি দিয়ে তৈরি?

উত্তর ঃ ফিউজ একটি খাটো, সরু এবং কম গলনাঙ্ক বিশিষ্ট পরিবাহি তার যেটা বৈদ্যুতিক বর্তনীতে সংযুক্ত থেকে নির্দিষ্ট পরিমানের কারেন্ট বহন করে। ফিউজ তারের উপাদান বা ফিউজিং এলিমেন্ট হিসেবে নিম্নে উল্লেখিত পদার্থগুলি ব্যবহার করা হয়ে থাকে ।কপার, সিলভার, টিন , জিঙ্ক, অ্যান্টিমনি, অ্যালুমিনিয়াম, লেড সহ নানারকম পদার্থ ব্যবহার করা হয় ।

যখন নির্দিষ্ট পরিমানের কারেন্টের থেকে বেশি কারেন্ট প্রবাহিত হতে যায় তখন এটি নিজে গলে যায় এবং বৈদ্যুতিক বর্তনীকে সরবরাহ হতে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে । বিদ্যুৎবর্তনীর বাইরে যেন আগুন ধরে বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি না হয়, তাই ফিউজ ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্নঃ ফিউজ কত প্রকার ও কি কি? 

উত্তর ঃ গঠন অনুযায়ি ফিউজ সাত প্রকারঃ
১.রি-ওয়্যায়েবল

২.কার্টিজ

৩.হাই রেপ্তুরিং ক্যাপাসিটি(এইচ আর সি) 

 

 

৪। কার্বন টেট্রা-ক্লোরাইড ফিউজঃ 

 

৫। ড্রপ আউট ফিউজ ঃ

 

৬। এক্সপালশন ফিউজঃ 

৭। হর্ন গ্যাপ ফিউজঃ

ভোল্টেজ অনুসারে ফিউজ দুই প্রকারঃ
১.লো -ভোল্টেজ

২.হাই- ভোল্টেজ

 

প্রশ্নঃ Auto-Reclosure কি কাজ করে থাকে?

উত্তরঃ বর্তমান বিশ্বে বিদ্যুৎ শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে সাথে আন্তঃসংযোগ ব্যবস্থার প্রসার ঘটেছে। প্রায় সকল দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা গ্রীড সিস্টেমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আন্তঃসংযোগ ব্যবস্থায় কোন ত্রুটি দেখা দিলে দুই প্রান্তের সার্কিট ব্রেকার ট্রিপ করে এবং ত্রুটি মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকে, যা নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের ক্ষেত্রে কাম্য নয়। বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বিতরণ ব্যবস্থায় ওভারহেড লাইনে অধিকাংশ ত্রুটি ট্রাঞ্জিয়েন্ট বা ক্ষণস্থায়ী প্রকৃতির। সমীক্ষায় দেখা গেছে প্রায় ৯০% ত্রুটি যেমনঃ ব্জ্রপাত, পাখি, গাছের শাখা-প্রশাখা ইত্যাদি সাময়িক ভাবে লাইনে পতনের ফলে সংঘটিত ত্রুটি কয়েক মুহুত পরে অর্থাৎ খুব তাড়াতাড়ি আপনাআপনি ঠিক হয়ে যায়। এক্ষেত্রে সাধারন সার্কিট ব্রেকারে ত্রুটি দেখা দেওয়া মাত্র ট্রিপ করে যায় এবং পরবর্তীতে ত্রুটি মুক্ত হলেও আপনা আপনি বা স্বয়ংক্রিয়ভাবে  সার্কিট ব্রেকার পুনঃসংযোগ স্থাপন করে না বরং পুনঃসংযোগের জন্য অপারেটরের হস্থক্ষেপের প্রয়োজন হয়। কাজেই উল্লেখিত অসুবিধা দূর করনের নির্মিতে এবং নিরবছিন্ন সরবরাহ ব্যবস্থার নিশ্চয়তা বিধান লক্ষে অটো-রিক্লোজার ব্যবহার করা হয়।

 

পোলের উপরে অবস্থিত অটো-রিক্লোজার  

ঘড়ের অভ্যন্তরীণ অটো-রিক্লোজার  

অটো-রিক্লোজার  

অটো-রিক্লোজার মূলত একটি সার্কিট ব্রেকার, যাতে নিদিষ্ট সময় অন্তর অন্তর নিদিষ্ট কয়েকবার অটো-রিক্লোজিং এর ব্যবস্থা রয়েছে। 

লাইনে কোন ত্রুটি দেখা দিলে এটি কিছু সময়ের ব্যবধানে (সাধারণত ০.৩ সেকেন্ড) লাইনকে বিচ্ছিন্ন ও পুনঃ সংযোগ করে থাকে। পর পর তিনবার এই প্রচেস্টা চালানোর পর ত্রুটিটি মুক্ত না হলে এটি লাইনকে পুনঃ সংযোগ করে না। এক্ষেত্রে রিক্লোজার পর পর তিনবার ওপেন থেকে ক্লোজ হওয়ার জন্য ১৫ থেকে ১২০ সেকেন্ড সময় নেয়। তিনবারের পরেও যদি ব্রেকার ট্রিপ করে তবে এধরনের সার্কিট ব্রেকার আগের মতই ওপেন হয়ে থাকবে এবং বন্ধ হবে না। তখন ধরে নেওয়া হয় যে, লাইনে কোন বড় ধরনের স্থায়ী ত্রুটি সংঘটিত হয়েছে। 

এক্ষেত্রে অপারেটরের উপস্থিতিতে লাইনের ত্রুটি নির্ধারণ ও মেরামত করে অটো-রিক্লোজার/সার্কিট ব্রেকার চালু করতে হয়। ক্ষণস্থায়ী ত্রুটি অটো-রিক্লোজার এর তিনবারের চেস্টায় আপনা আপনিই শেরে যায়। 

সাধারণত দুই ধরনের অটো-রিক্লোজিং ব্যবস্থার প্রচলন আছেঃ

১। সিঙ্গেল ফেজ অটো-রিক্লোজিং 

২। থ্রী ফেজ অটো-রিক্লোজিং 

 

প্রশ্নঃ আইসোলেটর কি কাজ করে থাকে?

উত্তরঃ আইসোলেটর এমন একটি সুইচ, যাকে লোড বিহীন অবস্থায় অন বা অফ করতে হয়। এতে আর্ক নির্বাপণের বিশেষ কোন ব্যবস্থা থাকে না। সার্কিটে কারেন্ট প্রবাহ চলাকালে আইসোলেটর ওপেন করা যায় না। যদি সার্কিটে অতিরিক্ত লোড কারেন্ট থাকে এবং সে সময় আইসোলেটর খোলা হয়, তবে আর্ক এর সৃষ্টি হয় এবং আর্থে সহজেই ফ্ল্যাশ ওভার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর ফলে পোলের ইন্সুলেটর ও আইসোলেটর কন্ট্রাকট ক্ষতি গ্রস্থ হয়। এমনকি আইসোলেটরের আগুন গিয়ে এটির পরিচালনাকারীকে আহত করতে পারে। 

 

আইসোলেটরের প্রকার ভেদ নিম্মরুপ ঃ

১। ভারটিক্যাল ব্রেক টাইপ আইসোলেটর

২। হরিজন্টাল ব্রেক টাইপ আইসোলেটর( সেন্ট্রাল ব্রেক বা ডাবল ব্রেক টাইপ আইসোলেটর)

৩। ভারটিক্যাল প্যান্টোগ্রাফ টাইপ আইসোলেটর

 

আইসোলেটর বা সার্কিট খোলা ও বন্ধ করার সময় করনীয়ঃ

(ক) আইসোলেটর বা সার্কিট খোলার সময় করনীয়ঃ

প্রথমেই সার্কিট ব্রেকার ওপেন করতে হবে

তারপর আইসোলেটর ওপেন বা অফ করতে হবে

অবশেষে আরথিং সুইচ বন্ধ করতে হবে (যদি থাকে) 

(খ) আইসোলেটর বা সার্কিট বন্ধ করার সময় করনীয়ঃ

প্রথমেই আরথিং সুইচ ওপেন করতে হবে (যদি থাকে) 

তারপর আইসোলেটর বন্ধ করতে হবে

অবশেষে সার্কিট ব্রেকার বন্ধ করতে হবে

প্রশ্নঃ Circuit Breaker বিশ্লেষণের কিছু ব্যবহৃত শব্দ কি?

উত্তরঃ রিস্ট্রাইকিং ভোল্টেজঃ আর্ক নির্বাপণের মুহূর্তে সার্কিট ব্রেকারের টার্মিনালে যে লব্ধি ট্রাঞ্জিয়েন্ট ভোল্টেজ আর্ককে পুনঃ জীবিত করতে চেষ্টা করে তাকে রিস্ট্রাইকিং ভোল্টেজ বলে। 

রিকভারী ভোল্টেজঃ যখন বিভিন্ন হারমোনিক্স এর ওসিলেশন নরমাল ফ্রিকোয়েন্সিতে থাকে তখন সার্কিট ব্রেকারের পোল টার্মিনালে যে কার্যকরী ভোল্টেজ পাওয়া যায় তাকে রিকভারী ভোল্টেজ বলে। এটি রেটেড সার্কিট ভোল্টেজ থেকে কিছুটা কম হয়। 

প্রশ্নঃ Circuit Breaker কি কাজ করে থাকে?

উত্তর ঃ কোন সার্কিটে ডিজাইন ভোল্টেজের চেয়ে বেশি ভোল্টেজ আসলে সার্কিট ব্রেকার তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সার্কিটকে রক্ষা করে থাকে।

এসি লাইনে শর্ট সার্কিট ঘটলে (লাইন টু লাইন বা লাইন টু নিউট্রাল)।

অতিরিক্ত লোড থাকলে।

ভোল্টেজ বেড়ে গেলে।

প্রশ্নঃ সার্কিট ব্রেকারের প্রকারভেদ?

  • আর্ক বা অগ্নি নির্বাপনের উপর ভিত্তি করে

*ওয়েল সার্কিট ব্রেকারঃ প্রথম যুগের সার্কিট ব্রেকার গুলোর মধ্যে ওয়েল সার্কিট ব্রেকার হল অন্যতম। এর মূল কারন হল খনিজ তেল, গ্যাস বা বায়ুর চেয়ে ভাল অন্তরক বৈশিষ্ট্য বিশিষ্ট অর্থাৎ এর ইন্সুলেটিং স্ট্রেন্থ তুলনা মূলক বেশী। 

 

 

বিভিন্ন সার্কিট ব্রেকারে ব্যবহৃত ইন্সুলেটিং পদার্থের তুলনামূলক ডাই-ইলেকট্রিক স্ট্রেন্থ নিচের ছকে উল্লেখ করা হলঃ 

আর্ক নির্বাপণের মাধ্যমে ইন্সুলেটিং স্ট্রেন্থ

ইনসুলেটর ডাই ইলেকট্রিক স্ট্রেন্থ 
বাতাস 
সালফার হেক্সাফ্লোরাইড (অপরিবর্তিত তড়িৎ ক্ষেত্র ) ৭-৯
সিলিকন তেল, খনিজ তেল ১০-১৫ 
ভ্যাকুয়াম ২০-৪০ (ইলেক্ট্রোডের আকৃতির উপর নির্ভরশীল) 

ওয়েল সার্কিট ব্রেকারে খনিজ তেল, একাধিক ফেজ পরস্পর হতে ও ফেজ গুলোকে আরথিং হতে ইন্সুলেট করার জন্য এবং সংযোগকারী পাত পরস্পর হতে বিচ্ছিন্ন করার সময় উৎপন্ন আর্ক নিভানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। 

তেলের মধ্যে বৈদ্যুতিক আর্ক উৎপন্ন হলে, তেলের কিছু অংশ বাষ্পীভূত হয় এবং কিছু অংশ ভেঙ্গে হাইড্রোজেন উৎপন্ন করে (অন্যান্য গ্যাস থাকলেও বেশীর ভাগই হাইড্রোজেন)। ফলে উৎপন্ন আর্ক হাইড্রোজেন বুদবুদ দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে। এই হাইড্রোজেনের বুদবুদ আর্ক হতে তাপ অপসারণে ভুমিকা রাখে। যার ফলে ডি-আয়নাইজেসন ঘটে এবং আর্ক প্রশমিত হয়। 

ওয়েল সার্কিট ব্রেকারের অসুবিধা হল, তেলের জ্বলন যোগ্যতা এবং রক্ষণাবেক্ষণ ( অর্থাৎ তেল পরিবর্তন এবং বিশুদ্ধ করন ) এর প্রয়োজনীয়তা । 

বাল্ক অয়েল সার্কিট ব্রেকার(BOCB)ঃ এটি এমন এক ধরনের সার্কিট ব্রেকার যেখানে আর্ক নির্বাপণের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করা হয়। যা কারেন্ট বহনকারী পাত ও ব্রেকারের আরথিং অংশ গুলোর মধ্যবর্তী অন্তরক বা ইন্সুলেটর হিসাবে কাজ করে। এখানে ব্যবহৃত তেল আর ট্রান্সফরমারে ব্যবহৃত ইন্সুলেটর তেল একই। 

এই সার্কিট ব্রেকারে সাধারণত 1 kV থেকে 330 kV পর্যন্ত ভোল্টেজ ব্যবহার করা যায়। 

*এয়ার সার্কিট ব্রেকারঃ 

যে সার্কিট ব্রেকারে বাতাস ( বায়ু ) এর চাপ দিয়ে সার্কিট খোলা ও বন্ধ করার কাজ করা হয় , সেই সার্কিট ব্রেকার কে এয়ার সার্কিট ব্রেকার বলে ।

 

 

প্রকারভেদঃ

এয়ার সার্কিটে আর্ক নিভানোর জন্য বাতাস ( বায়ু ) রাখা হয় । বাতাস (বায়ু ) ব্যবহারের ধরণ অনুযায়ী এয়ার সার্কিট ব্রেকার দুই প্রকার।

১- সাধারণ সার্কিট ব্রেকার
২-এয়ার ব্লাস্ট সার্কিট ব্রেকার
 

১- সাধারণ সার্কিট ব্রেকার এর গঠনঃ

সাধারণ সার্কিট ব্রেকারের মুল অংশ হিসেবে দুটি লিভার, একটি ইলেক্ট্রিক চুম্বক এবং স্প্রিং থাকে। লিভার দুটি যুক্ত করার জন্য লিভারের প্রান্তে খাঁজ কাটা  থাকে। এক পোলের জন্য একটি, দুই পুলের জন্য দুইটি এবং তিন পোলের জন্য তিনটি কন্ট্যাক পাত, কন্ট্যাক লিভারের সাথে যুক্ত থাকে। কন্ট্যাক লিভারের সাথে একটি স্প্রিং লাগানো হয় , যাতে কন্ট্যাক পাত কন্ট্যাক থেকে আলাদা করতে চেষ্টা করে। হোল্ডিং লিভারের সাথে একটি স্প্রিং লাগানো হয়, যাতে হোল্ডিং লিভারকে চুম্বকের উল্ট দিকে টেনে রাখে। কারেন্ট চুম্বক কয়েলটি লাইনের সাথে সিরিজে সসংযুক্ত থাকে। আবার কারেন্ট ট্রান্সফর্মারের ও সংযুক্ত থাক্ত পারে । সাধারণত ইস্পাতের দ্বারা বানানো বক্সের ভিতরে সম্পুর্ণ  অংশ থাকে।প্লাস্টিক দিয়ে নব বা হ্যন্ডেল বানানো হয় ,যা দিয়ে কন্ট্যাক লিভার কে চাপ দিয়ে ব্রেকার নিয়ন্ত্রন করা হয়। নব চাপ দিলে কন্ট্যাক লিভার খাজে আটকে যায় এবংকন্ট্যাক পাত সার্কিট বন্ধ করে। ওভার কারেন্ট প্রবাহিত হইলে চুম্বকের আকর্ষণে হোল্ডিং লিভার নেমে আসে। ফলাফল, স্প্রিং এর টানে কন্ট্যাক লিভার আলাদা হয় এবং সার্কিট বন্ধ হয়ে যায়। 

 

২-এয়ার ব্লাস্ট সার্কিট ব্রেকার:

এয়ার ব্লাস্ট সার্কিট ব্রেকার একটি চীনামাটিরবুশিং এর উপরের ভাগে দুটি স্থির কন্ট্যাক্ট থাকে । এই দুটি স্থির কন্ট্যাক্ট এর মধ্য দিয়ে একটি চলনশীল কন্ট্যাক্টচলাচল করে সার্কিট বন্ধ বা খুলে দেয়। স্থির কন্ট্যাক্ট দুইটি ব্রেকারের টার্মিনাল । চলমান কন্ট্যাক্ট দুইটি ব্রেকারের টার্মিনাল। চলমান কন্ট্যাক্ট এর সাথে একটি প্লাঞ্জার থাকেযা নিচের চেম্বারের তল ঘেষে উঠানামা করে ।

বুশিং এর সাথে তিনটি নল লাগানো থাকে । সর্বনিম্ন নলেরমধ্যে বাতাসের চাপবাতাসের চাপ প্রয়োগ করা হলে প্লাঞ্জার উপরে উঠে ব্রেকার বন্ধ করে।মাঝের নলে বাতাসের চাপ দিলে প্লাঞ্জার নিচে ঠেলেদেয় ফলে ব্রেকার খুলে যায় । এই মাঝের নলের উপরের মোটা  নলে বাতাস চাপ আর্কের দিকে প্রয়োগ করা হয় এবং আর্ক বাইরে উড়িয়ে নিয়ে যায়।

এয়ার ব্লাস্ট সার্কিট  ব্রেকার আবার ৩ ধরণের হয়ঃ

(i) এক্সিয়েল ব্লাস্ট সার্কিট  ব্রেকার
(ii) রেডিয়েল ব্লাস্ট সার্কিট  ব্রেকার
(iii) ক্রস ব্লাস্ট সার্কিট  ব্রেকার
 

ব্যবহারঃ

১- বৈদ্যুতিক লাইন কে সাধারণ অবস্থায় অন বা অফ করার জন্য এই সার্কিট ব্যাবহার করা হয়।

২-বৈদ্যুতিক লাইনকে অস্বাভাবিক অবস্থাজনিত ক্ষয় ক্ষতি হতে রক্ষা করার জন্যও এই সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার করা হয়। লাইনের কোথাও দোষ  ত্রুটি দেখা দিলে ব্রেকার ট্রিপ করে এবং ত্রুটিপুর্ণ অংশ আলাদা করে দেয়।

৩-সাধারণ এয়ার সার্কিট ব্রেকার ডিষ্টিবিউশন ট্রান্সফর্মারের লোডের দিকে বাসবারে ব্যবহার করা হয় । বিভিন্ন বাস ভবন ,অফিস ,হোটেল রেস্তোরায় অপেক্ষাক্রিত ছোট আকারের  এয়ার সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার করা হয়।

*সালফার হেক্সাফ্লোরাইড সার্কিট ব্রেকারঃ যে সার্কিট বেকারের কারেন্ট পরিবাহীকে সালফার হেক্সাফ্লোরাইড গ্যাসের মধ্যে রেখে পরিচালিত করা হয় তাকে SF6 সার্কিট ব্রেকার বলে। উচ্চ ইনসুলেটিং বৈশিষ্ট্যের জন্য সালফার হেক্সাফ্লোরাইড ব্যবহার করা হয়।

এই ব্রেকারটি দুটি অংশের সমণয়ে গঠিতঃ

১। ইন্টারাপটার ইউনিট

২। গ্যাস সিস্টেম ইউনিট  

SF6 সার্কিট ব্রেকার কে নিম্নোক্ত ভাগে ভাগ করা যায়:

ক। সিঙ্গেল ইন্টারাপ্টার SF6 সার্কিট ব্রেকার

খ। টু ইন্টারাপ্টার SF6 সার্কিট ব্রেকার

গ। ফোর ইন্টারাপ্টার SF6 সার্কিট ব্রেকার

 

*ভ্যাকুয়াম সার্কিট ব্রেকারঃ যে সার্কিট ব্রেকার ভ্যাকুয়াম বা শূন্য মাধ্যমে সৃষ্ট আর্ক অবদমন করতে সক্ষম তাকে ভ্যাকুয়াম সার্কিট ব্রেকার বলে। 

আর্কঃ আর্ক হল এক ধরনের ইলেকট্রিক্যাল ডিসচার্জ । যা দুটো পরিবাহী ইলেক্ট্রোডের মধ্যে সৃষ্টি হয় এবং স্পার্ক তৈরী করে। এই স্পার্ক সৃষ্টির দরুন দুটো ইলেক্ট্রোডের মধ্যে যে ভোল্টেজ তৈরী হয় তাকে আরকিং ভোল্টেজ বলে। 

ভ্যাকুয়াম সার্কিট ব্রেকার এর ব্যবহারঃ এটি সাধারণত  33/11kV ডিস্ট্রিবিউশন সাবস্ট্রেশনের জন্য ব্যবহার করা হয়। তবে এই ব্রেকারের ভোল্টেজ রেটিং 3 kV থেকে 38kV পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই ভ্যাকুরাম সার্কিট ব্রেকারে এক ধরনের চেম্বার থাকে যাকে ভ্যাকুয়াম ইন্টারাপ্টার চেম্বার বলে। 

ভ্যাকুয়াম ইন্টারাপ্টার চেম্বারঃ যে চেম্বারে বিদ্যুৎ পরিবাহী পাত খোলা, বন্ধ এবং আর্ক অবনমিত হয় তাকে ভ্যাকুয়াম ইন্টারাপ্টার চেম্বার বলে। এটি সিরামিকের আবরণ দেওয়া ইস্পাত দিয়ে তৈরী। এর অভ্যন্তরীণ চাপ ১ মাইক্রোবার। এই চেম্বারে তামা ও ক্রোমিয়াম পাত থাকে। এই ধাতব পাতের আকৃতি সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়েছে। শুরুর দিকে বাট আকৃতির পাত ব্যবহার করা হলেও বর্তমানে সর্পিলাকার পাত বহুল ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। 

ভ্যাকুয়াম সার্কিট ব্রেকার এর কার্যপদ্ধতিঃ ভ্যাকুরাম সার্কিট ব্রেকারটি যে পাওয়ার সিস্টেমের অন্তর্ভুক্ত সেখানে কোন ফল্ট দেখলে তার ইন্টারাপ্টার চেম্বারের পরিবাহী পাত দুটো একে অপরের থেকে বিছিন্ন হয়ে যায়। বিছিন্ন হওয়ার সময় ধাতব অংশ থেকে বাস্প তৈরী হয়। ধাতব বাস্পের পোলারাইজেশনের ফলে আর্ক তৈরী হয়। যখন আর্ক উৎপন্ন হয় তখন আয়ন বা ইলেকট্রন গুলো সরে যাওয়া পাতের দুই পাশে অবস্থান করে। যার ফলে ডাই-ইলেকট্রিক ফিল্ড তৈরী হয়। ফলে আর্ক প্রশমিত হয়ে পুনরায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। এই ক্রোমিয়াম বা তামার পাত দুটোর দূরত্ব নুন্যতম দুই সেঃমিঃ হলে তা 30kV পর্যন্ত আর্ক প্রশমন করতে পারে। 

ভ্যাকুরাম সার্কিট ব্রেকারের সুবিধাঃ 

  1. বদ্ধ অবস্থায় আগুনের কোন ঝুঁকি নাই। 
  2. বজ্রপাত সহ্য করতে পারে। 
  3. রক্ষণাবেক্ষণের তেমন প্রয়োজন হয় না এবং নিঃশব্দে কাজ করে।
  4. ২০ বছর পর্যন্ত দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। 
  5. উৎপন্ন আর্ক অপেক্ষাকৃত কম শক্তির। কোন ক্ষতিকারক গ্যাস তৈরী করে না। 

ভ্যাকুরাম সার্কিট ব্রেকারের অসুবিধাঃ 

  1. এর সাথে প্যারালালে ম্যাগনেটাইজিং কারেন্ট অবদমন যন্ত্র সংযুক্ত করতে হয়। 
  2. 36kV এর উপরে এর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বহুল হয়ে থাকে এবং খোলা অবস্থায় রাখলে ভ্যাকুরাম সার্কিট ব্রেকারে বায়ু প্রবেশ করে, সেই বায়ু উচ্চ ভোল্টেজে আয়নিত হয়ে অগ্নিকান্ড ঘটার সম্ভাবনা থাকে। তাই ভ্যাকুরাম সার্কিট ব্রেকার প্যানেল খুব এয়ার টাইট পজিশনে রাখা উচিৎ বা জরুরী । 
  • সার্ভিসের উপর ভিত্তি করে

আউটডোর Circuit Breaker।

ইনডোর সার্কিট ব্রেকার।

  • অপারেটিং মেকানিজমের উপর ভিত্তি করে

স্প্রিং অপারেটেড সার্কিট ব্রেকার।

নিউমেটিক সার্কিট ব্রেকার।

হাইড্রো-ইলেক্ট্রিক সার্কিট ব্রেকার।

  • ভোল্টেজ লেবেল ইনস্টলেশনের উপর ভিত্তি করে

হাই ভোল্টেজ সার্কিট ব্রেকার

মেডিয়াম ভোল্টেজ সার্কিট ব্রেকার

লো-ভোল্টেজ সার্কিট ব্রেকার

  • এছাড়া নিম্মলিখিত ভাবে ভাগ করা যায়

ম্যাগ্নেটিক সার্কিট ব্রেকার।

কমন ট্রিপ সার্কিট ব্রেকার।

থার্মাল সার্কিট ব্রেকার।

ডিসকানেক্টিং সার্কিট ব্রেকার।

কার্বন ডাই-অক্সাইড সার্কিট ব্রেকার।

এছাড়া অন্যান্য।

প্রশ্নঃ সার্কিট ব্রেকারের গঠন প্রণালী ও কার্যপ্রনালী লিখ। 

Circuit Breaker

Circuit Breaker মূলত দুটি প্রধান অংশ নিয়ে গঠিত।

ফিক্সড কন্টাক্ট।

মুভিং কন্টাক্ট।

আমরা বাসা-বাড়িতে সাধারনত MCB-Miniature Circuit Breaker ব্যবহার করে থাকি। তারই প্রেক্ষিতে নিচে মিনিয়েচার সার্কিট ব্রেকারের ছবি নিচে দেওয়া হয়েছে।

এটি বাসা বাড়িতে বহুল ব্যবহিত একটি সার্কিট ব্রেকার। চিত্রে অপারেটিং লেভেল, আর্ক স্প্লিটার, মুভিং কন্টাক্ট, ফিক্সড কন্টাক্ট, ট্রিপ কয়েল ইত্যাদি।

কার্যপ্রনালী:

সার্কিট ব্রেকারের কিছু বেসিক সাধারন কার্যপ্রনালী উল্লেখ করা হলো।

স্বাভাবিক অবস্থায় Circuit Breaker ম্যানুয়ালি (রিমুট কন্ট্রোল বা অন্যান্য) অপারেট করা হয়ে থাকে।

Current Fault অবস্থায় Circuit Breaker স্বয়ংক্রিয় ভাবে অপারেট করে।

স্বাভাবিক অবস্থায় মুভিং এবং ফিক্সড কন্টাক্ট একই কন্টাক্টে থাকে এবং সার্কিটের মধ্যেদিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়ে থাকে।

সিটি এবং রিলে উভয়ই স্বয়ংক্রিয় বাধার জন্য কাজ করে থাকে।

প্রশ্নঃ সার্কিট ব্রেকার কি এর কাজের ধাপ?

উত্তর ঃ যখন লাইনে ডিজাইন কারেন্টের চেয়ে বেশি কারেন্ট প্রবাহিত হবে(অতিরিক্ত কারেন্ট ফল্টজনিত কারনে) তখন কারেন্ট ট্রান্সফরমার (সিটি) অতিরিক্ত কারেন্টকে কমিয়ে রিলে কয়েলে প্রেরন করবে।

রিলে কয়েলে যখন পিক কারেন্ট (নির্দিস্ট কারেন্টের চেয়ে বেশি কারেন্ট) ঘটে তখন রিলে কয়েল এক্টিভ হয় এবং রিলের মুভিং কন্টাক্ট সার্কিটকে বন্ধ করে।

তখনি ট্রিপ সার্কিটের ব্যাটারি সোর্সের মাধ্যমে ট্রিপ কয়েল এনার্জিড হয় এবং কন্টাক্টকে ব্রেক করে থাকে।

 

প্রশ্নঃ সার্কিট ব্রেকার এর টেস্ট সমূহ কি কি? 

উত্তরঃ সার্কিট ব্রেকার এর টেস্ট সমূহঃ যখন কোন সার্কিট ব্রেকার নিদিষ্ট স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী ডিজাইন এবং নির্মাণ করা হয় তখন এর কার্যসম্পাদনের বিভিন্ন বিষয়াদি যাচাই বা প্রমান করার জন্য টেস্টিং প্রয়োজন। 

বিভিন্ন ধরনের টেস্ট গুলো নিম্ম রুপঃ 

(ক) টাইপ টেস্টঃ কোন সার্কিট ব্রেকারের ডিজাইন চূড়ান্ত করার পর একটি বা প্রথম কয়েকটি ব্রেকারের রেটিং নিশ্চিত হওয়ার জন্য এবং ঐ নিদিষ্ট ডিজাইনের বৈশিষ্ট্য সমূহ যাচাই করাকে টাইপ টেস্ট বলে। কোন কোম্পানীর প্রস্তুতকৃত সকল সার্কিট ব্রেকারে এই টেস্ট করা হয় না।

বিভিন্ন ধরনের টাইপ টেস্ট নিম্ম রুপঃ

১। মেকানিক্যাল টেস্ট

২। তাপমাত্রা বৃদ্ধি টেস্ট, মিলি ভোল্ট ড্রপ টেস্ট

৩। হাই ভোল্টেজ টেস্ট

৪। শর্ট সার্কিট টেস্ট

(i) মেকিং ক্যাপাসিটি টেস্ট

(ii) ব্রেকিং ক্যাপাসিটি টেস্ট

(iii) শর্ট টাইম টেস্ট

(iv) অপারেটিং সিকোয়েন্স টেস্ট 

(খ) রুটিন টেস্টঃ প্রস্তুত কারক একই স্পেসিফিকেশন বিশিষ্ট সকল সার্কিট ব্রেকার ডিস-প্যাচ( বিলি বা প্রেরন) এর পূর্বে যে টেস্ট করা হয় তাকে রুটিন টেস্ট বলে। 

রুটিন টেস্টের আওতাভুক্ত টেস্ট সমূহঃ 

১। অপারেশন টেস্ট

২। মিলি ভোল্ট ড্রপ টেস্ট

৩। পাওয়ার ফ্রিকোয়েন্সি ভোল্টেজ টেস্ট প্রস্তুত কারক অঙ্গনে 

৪। পাওয়ার ফ্রিকোয়েন্সি ভোল্টেজ টেস্ট স্থাপন কারক অঙ্গনে 

(গ) ডেভেলপমেন্ট টেস্টঃ এক্ষেত্রে প্রস্তুত কারক, গবেষক ও বিজ্ঞানী প্রভৃতি স্তরের লোকজন সার্কিট ব্রেকারের সম্পূর্ণ অংশ বা অংশ বিশেষ ম্যাটেরিয়াল ইত্যাদি পরীক্ষা - নিরীক্ষা করে সার্কিট ব্রেকারের উপযোগিতা যাচাই করে। 

(ঘ) বিশ্বস্ততা টেস্টঃ বিভিন্ন প্রতিকুল অবস্থা যেমনঃ ভূকম্পন, পারিপার্শ্বিক তাপমাত্রা, ধুলা-বালি, আদ্রতা, পুনঃ পুনঃ অপারেশন ইত্যাদি ক্ষেত্রে সঠিক ভাবে ও বিশ্বস্ততা সহকারে কাজ করতে সক্ষম হয় কিনা তা দেখা হয়। বিশেষ করে ল্যাবরেটরিতে এই টেস্ট সম্পাদন করা হয়। 

(কমিশনিং টেস্টঃ সার্কিট ব্রেকার স্থাপন করার পর এই টেস্ট করা হয়। এই টেস্টে সার্কিট ব্রেকার সঠিক নিয়মে সংযোজন হয়েছে কি না এবং অপারেশনের জন্য প্রস্তুত আছে কি না তা দেখা হয়ে থাকে। 

নিম্ম লিখিত টেস্ট গুলো কমিশনিং টেস্ট এর অন্তর্ভুক্তঃ

১। মেকানিক্যাল অপারেশন টেস্ট

২। কন্টাক্ট সমূহের চলাচল টেস্ট

৩। ইন্সুলেশন রেজিস্টেন্স টেস্ট (পোল টার্মিনালের মধ্যকার রেজিস্টেন্স টেস্ট) 

৪। প্রি কমিশনিং চেক 

৫। ম্যানুয়াল অপারেটিং সিগনাল দিয়ে উত্তেজিত করে এর কার্যক্রম চেক করা।

৬। রিলে উত্তেজিত করে এর কার্যক্রম চেক করা। 

(চ) শর্ট - সার্কিট টেস্ট সমূহঃ এই টেস্টিং স্টেশনে সার্কিট ব্রেকারের রেটিং যাচাই করার জন্য এই টেস্ট গুলো করা হয়ে থাকে। 

এতে দুই ধরনের টেস্টিং স্টেশন আছেঃ

১। ফিল্ড টাইপ টেস্টিং স্টেশন 

২। ল্যাবরেটরি টাইপ টেস্টিং স্টেশন 

  • ফিল্ড টাইপ টেস্টিং স্টেশন ঃ পরীক্ষণীয় ব্রেকারটি সিস্টেমে যুক্ত করে বড় ধরনের পাওয়ার সিস্টেম থেকে সরাসরি পাওয়ার সরবরাহ করে এ টেস্ট সম্পাদন করা হয়। 
  • ল্যাবরেটরি টাইপ টেস্টিং স্টেশন ঃ এই ধরনের টেস্টিং এ প্রয়োজনীয় পাওয়ার বিশেষ ভাবে ডিজাইনকৃত জেনারেটর থেকে নেওয়া হয়ে থাকে। 

 

 

 উইকিপিডিয়া ও ইন্টারনেট হতে তথ্য, ছবি সংগৃহীত 

 

No comments:

Post a Comment

সাম্প্রতিক পোস্ট সমূহ

Recent Posts Widget