পাকিস্তান আমলে তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান এর বিদ্যুত-খাত ছিলো একরকম অস্তিত্বহীন। ১৯৬২ সালে কাপ্তাই ৮০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুত কেন্দ্র এবং ঢাকা-চট্রগ্রাম ১৩২ কিলোভোল্ট পাওয়ার ট্রান্সমিশন লাইন স্থাপন করা হয়। ১৯৭০ সালে চালু হয় ১২৮ মেগাওয়াটের আশুগঞ্জ তাপবিদ্যুতকেন্দ্র। এর বাইরে অল্প কিছু তেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছিল স্বল্প ক্ষমতার।
স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠন এর কাজে বিদ্যুৎ খাত গুরুত্ব পায়। ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ১১০ মেগাওয়াট ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। ১৯৭৫ এর পর বিদ্যুৎখাতের আগ্রগতি কিছু বছরের জন্য শ্লথ হয়ে পড়ে।
এই পর্যায়ে লক্ষনীয় যে, বাংলাদেশ এর বৃহৎ বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রগুলো ছিলো সিলেট অঞ্চলথেকে পাওয়া গ্যাসভিত্তিক। এমনকি ৮০-এর দশকের জন্য বিপিডিবির পরিকল্পায় থাকা বৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোও ছিলো গ্যাসভিত্তিক ও দেশের পূর্বাঞ্চলে তথা আশুগঞ্জ-ঘোড়াশাল বেল্টে অবস্থিত। কারণ, গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ এর উৎপাদন খরচ খুবই কম। অপরদিকে খুলনা-ভেড়ামারা সহ দেশের অন্যান্য গ্যাস সংযোগবিহীন স্থানে অবস্থিত তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যায় হচ্ছিলো মূল্যবান ফরেন-রিজার্ভ।
এসব কারণে পূর্বাঞ্চলে উৎপাদিত অপেক্ষাকৃত সস্তা বিদ্যুৎ দেশের পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলে বিতরণের প্রয়োজনীয়তা বিশেষভাবে অনুভূত হয়।
উল্লেখ্য, পাকিস্তান আমলেই ঈশ্বরদীর রূপপুরে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কথা ছিলো। যদিও সেটি স্থাপনের উদ্যোগ বারবার হোঁচট খাচ্ছিলো, তবুও বিপিডিবির দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছিলো সুপ্তাবস্থায়। বিপিডিবির চাচ্ছিলো একবার রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা গেলে সেখান থেকে বিদ্যুৎ পশ্চিমাঞ্চলের চাহিদা পূরণ করে যেন পূর্বাঞ্চলেও আনা যায়, সে ব্যাবস্থা করে রাখা।
মোটকথা: দেশের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের মাঝে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনের সুপ্ত প্রয়োজনীয়তা বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ায় আগ থেকেই অনুভূত হচ্ছিলো। কিন্তু এর মাঝে বড় সমস্যা ছিলো দুটো। প্রথম সমস্যা হলো: এই বিশাল দূরত্বে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য তৎকালীন প্রচলিত ১৩২ কিলোভোল্টের ট্রান্সমিশন সিস্টেম অকার্যকর ছিলো। ১৩২ কিলোভোল্টের ট্রান্সমিশন লাইনে সিস্টেম লস হতো প্রচুর। দ্বিতীয় সমস্যা: দেশের পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চল তিনটি বড় নদী তথা যমুনা-পদ্মা-মেঘনা দ্বারা বিচ্ছিন্ন ছিলো। এই বাধা অতিক্রম করাটাই সেসময়ে একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ বলা চলে।
১৯৬৮ সালে প্রথম কানাডার সহজ শর্তে প্রদত্ত লোনে একটি প্রাথমিক পর্যালোচনা করা হয় এই পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের মাঝে একটি বিদ্যুত সঞ্চালন লাইন স্থাপন করার। এই লাইনটি পদ্মা নদীকে অতিক্রম করার সম্ভাব্য স্থান বিবেচনা করা হয় দুই পয়েন্টে: আরিচা ও সিরাজগঞ্জে। সার্বিক পর্যালোচনা শেষে মতামত দেওয়া হয় যেন আরিচায় এই সঞ্চালন লাইনটি স্থাপন করা হয়। কিন্তু তারপর আর কোন অগ্রগতি হয়নি এ বিষয়ে।
অবশেষে ১৯৭৯ সালে বিপিডিপি পূূর্বতন পরিকল্পনাকে হালনাগাদ করার জন্য কনসাল্টেন্ট নিয়োগ করে। ১৯৭৯ এর নভেম্বরে এই রিভার-ক্রসিং স্থাপনের জন্য কন্ট্রাক্ট দেওয়া হয়। সমান্তরালে শুরু হয় নরসিংদীর ঘোড়াশাল থেকে টঙ্গী হয়ে ঈশ্বরদী পর্যন্ত দেশের সর্বপ্রথম ২৩০ কিলোভোল্ট হাইভোল্টেজ ট্রান্সমিশন লাইন স্থাপনের।
আরিচায় যমুনা ও পদ্মানদীর মোহনা থেকে ৬ কিলোমিটার উত্তরে এই ক্রসিংটি স্থাপনের জন্য জায়গা নির্ধারণ করা হয়। যমুনা নদী এখানে প্রায় ১২ কিলোমিটার চওড়া। নদীর উপর এতো বিশাল দৈর্ঘ্যের হাই ভোল্টেজ ইলেক্ট্রিসিটি ট্রান্সমিশন লাইন স্থাপন তখনকার সময়ে সারাবিশ্বে অভূতপূর্ব একটি ঘটনা ছিলো।
বেইজ থেকে ১১১ মিটার উঁচু ১১টি টাওয়ারের উপর ২টি "ডেল্টা সার্কিটে" ২৩০ কিলোভোল্ট লাইন বসানো হয়। দুটি টাওয়ারের মধ্যবর্তী স্প্যান ছিলো ১,২২০ মিটার। এই ১১টি টাওয়ারের বাইরে নদীর দুপাড়ে স্থাপন করা হয় দুটি এংকর টাওয়ার।
EWIC-1 রিভার ক্রসিং এর ছবি
টাওয়ারগুলোকে ১২.২ মিটার ব্যাসের কংক্রিটের তৈরী Cassion ফাউন্ডেশন এর উপর বসানো হয়। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ জড়িত ব্যাতিরেকে বাকিদের কাছে Cassion শব্দটি হয়তো অপরিচিত। সহজ ভাষায় বললে, ইটের গাঁথুনি দিয়ে বাঁধা কূয়োর মতো দেখতে একরকম ফাউন্ডেশনকে বলে Cassion, এটিকে Well টাইপ ফাউন্ডেশনও বলা হয়।
Cassion ফাউন্ডেশন এর প্রোফাইল, মনে রাখা প্রয়োজন: প্রতিটি ফাউন্ডেশন ১২.২ মিটার চওড়া ও বেইজ থেকে ১০৩.২ মিটার গভীর
পাইল ফাউন্ডেশন এর বিকল্প এটি। সেতু নির্মানের জন্য আগে বহুল প্রচলিত একটি ফাউন্ডেশনের টাইপ ছিলো Cassion ফাউন্ডেশন। গভীরতম ফাউন্ডেশনটি টাওয়ারের বেইজ থেকে মোট ১০৩.২ মিটার গভীর। সহজে বোঝার জন্য বললে: মোটামুটি ৩০ তলা বিল্ডিং চেয়ে খানিক বেশিই।
Cassion বসানোর জন্য Steel Cutting Shoe
আমাদের দেশে এখন সিভিল ইনফ্রাস্ট্রাকচার নির্মাণে দেশীয় রড ও সিমেন্ট এর ব্যাবহার বেশ লক্ষণীয়। ১৯৭৯ সালে এই সক্ষমতা কিন্তু আমাদের ছিলো না। ফলে কন্ট্রাক্টরকে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে রড ও সিমেন্ট সাগর ও নদী পথে আনতে হয়েছিলো। সর্বমোট তিনটি কংক্রিট মিক্সার স্থাপন করা হয়েছিলো, দুটি স্থলের উপর ও একটি বার্জে ভাসমান।
নদীর ভেতর ৪০ মিটার ব্যাসের স্টিল টিউব সেলের ভেতর নির্মাণাধীন টাওয়ার
নির্মাণাধীন অবস্থায় একটি টাওয়ার
টাওয়ারগুলোর কয়েকটি চরের উপর এবং বাকিগুলো নদীর মাঝে ৪০ মিটার ব্যাসের বৃত্তাকার বালিভর্তি স্টিল-টিউবের ভেতর নির্মান করা হয়েছিলো। ১৯৮০ সালের ভয়াবহ বন্যার ফলে যমুনা নদীর গতিপথের ব্যাপক পরিবর্তন হয়, ফলে ফাউন্ডেশন নির্মানের নেওয়া পরিকল্পনায় ব্যাপক পরিবর্তন আনতে বাধ্য হতে হয়। সর্বমোট ছয়টি টাওয়ার নদীর মাঝে নির্মান করা হয়, মূল পরিকল্পনার চেয়ে যা একটি বেশি।
নির্মানের মাঝপথে নগরবাড়ির দিক থেকে ৬ নম্বর টাওয়ারের জন্য স্থাপিত স্টিল টিউবটি কালবৈশাখী ঝড়ে উপরে যায়। ফলে এই একটি টাওয়ারকে মূল পরিকল্পিত জায়গার বদলে ২১.৩ মিটার দূরে ও অনান্য টাওয়ার অপেক্ষা ৫মিটার উঁচুতে নির্মান করা হয়।
আরেকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিলো ১৫ জুন, ১৯৮১ রাতে নির্মানাধীন একটি ফাউন্ডেশনের ভেতর হঠাৎ গ্রাউন্ড-ওয়াটার সুইপেজের কারণে আচমকা ব্লো-আউট। এর ফলে ফাউন্ডেশনের পাশে মাটির উপর ফাটল দেখা যায়। যদিও কয়েকদিনের টানা প্রচেষ্টার পর এই বিপর্যয়কে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছিলো।
আরিচা-নগরবাড়ি রুটটি তখন ছিলো দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নৌরুট, এখনও কিন্তু এই নদীপথের বেশ গুরুত্ব রয়েছে। এই নদীপথকে নিরবিচ্ছিন্ন রাখার জন্য টাওয়ার নির্মানে প্রয়োজনীয় নেভিগেশন হেড রেখে এবং যথাসম্ভব কমসময় নদীপথ বন্ধ রেখে টাওয়ারে তার টানানোর কাজ কর হয়।
নদীর উপর বায়ু প্রবাহের কারণে তারে কম্পন তৈরী হয়। এই কম্পনের ফলে রেজোনেন্স হয়ে কন্ডাকটর তার ও টাওয়ার উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। গ্রাউন্ড টাওয়ারের জন্য এটি বিশেষ সমস্যা না হলেও নদীর মাঝের টাওয়ারের জন্য এটি বিশাল সমস্যা। কারণ, নদীর মাঝে ঘনঘন ফিজিকাল চেকিং সম্ভব না...আবার: যদি কোন কারণে তার ছিঁড়ে লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে লাইন পুনর্স্থাপন করতে অনেক সময় ও অর্থের প্রয়োজন হবে। এই সম্ভাবনা বিবেচনায় ভাইব্রেশনকে মনিটর করার জন্য তারের সাথে ভাইব্রেশন মনিটর ইউনিট যুক্ত করা হয়, প্রতিটি টাওয়ারের নিচে একটি বক্সে এই সিস্টেম এর একটি ডিসপ্লে ইউনিট রাখা হয় সহজে রিডিং সংগ্রহ করার সুবিধার্থে।
EWIC-1 এর এলাইনমেন্ট: নরসিংদীর ঘোড়াশাল থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত, আরিচায় যমুনা নদীর উপর দিয়ে পার হয়ে
যদিও এই রিভার ক্রসিং এর আশেপাশে কোন এয়ারপোর্ট নেই, তবুও সেইফটির জন্য প্রতিটি টাওয়ারে ৫টি এয়ারট্রাফিক ওয়ার্নিং এর বাতি রয়েছে। এখানে একটা ইন্টারেস্টিং ডিজাইন অপশন এনালাইসিস আমরা দেখে পারি। এই বাতিগুলো জ্বালানোর জন্য টাওয়ার প্রতি অল্পকিছু লোভোল্টেজ বিদ্যুত প্রয়োজন। যদিও টাওয়ারগুলো বিদ্যুৎই পরিবহন করছে, তবুও সেখান থেকে এই সরাসরি বাতিগুলোর জন্য বিদ্যুৎ নেওয়া সম্ভব না। কারণ এতো অল্পপরিমাণ লোভোল্টেজ বিদ্যুৎ কোনভাবেই এতো হাইভোল্টেজ লাইন থেকে নেওয়া যায় না।
একটি সম্ভাব্য অপশন ছিলো স্থানীয় লো-ভোল্টেজ ডিস্ট্রিবিউশন লাইন থেকে বিদ্যুত সংযোগ দেওয়ার। কিন্তু তৎকালীন বিদ্যুৎ ব্যাবস্থায় ঘনঘন লোডশেডিং ছিলো নিত্যনৈমত্তিক, ফলে এরকম আনরিলায়েবল উৎস এর উপর বেইজ করে কোন সেইফটি সিস্টেম এ পাওয়ার দেওয়ার কথা ভাবাও যায় না। প্রতিটি টাওয়ারে ডিজেল জেনারেটর বসিয়ে মোটামুটি রিলায়েবল পাওয়ার সাপ্লাই দেওয়া সম্ভব ছিলো। কিন্তু সেক্ষেত্রে সমস্যা ছিলো মেইনটেনেন্স ও ফুয়েল সাপ্লাই এর ঝামেলা। সবশেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় প্রতিটি টাওয়ারের উপর দক্ষিণমুখী সোলারপ্যানেল বসিয়ে লেড-এসিড ব্যাটারীতে চার্জ রেখে বাতি জ্বালানোর, যাতে টানা ১০দিন মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও যেন বাতি জ্বলে ঠিকঠাক। এতে করে ছয়মাস পরপর শুধু সোলার প্যানেল পরিষ্কার করা ছাড়া তেমন কোন মেইনটেনেন্স এর আর প্রয়োজন হয় না।
১৯৮০ এর বন্যার ফলে ক্রসিং এর জায়গায় নদীর আকস্মিক গতিপথ পরিবর্তন বোঝা যায় এই রিভার ক্রস সেকশন থেকে
১৯৮২ সালের ৩০ এপ্রিল ১১টি ফাউন্ডেশন বসানো শেষ হয়। ঐ বছরেই ৯ অক্টোবর শেষ হয় টাওয়ার বসানোর কাজ। ৩০ নভেম্বর টাওয়ারের উপর কন্ডাক্টর তার টানানোও শেষ হয়। যদিও ঘোড়াশাল থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত পুরো লাইনই ২৩০ কিলোভোল্ট ইলেক্ট্রিসিটি পরিবহনে সক্ষম ছিলো, কিন্তু শুরুতে ১৩২ কিলোভোল্ট ইলেক্ট্রিসিটি দিয়েই লাইনটি বিদ্যুতায়িত করা হয়। ১৯৮৭ সালে আশুগঞ্জ ১৩২কেভি/২৩০ কেভি স্টেশনের কাজ শেষ হলে কার্যকরভাবে চালু হয় বাংলাদেশের প্রথম ২৩০ কিলোভোল্ট সক্ষমতার হাইভোল্টেজ ট্রান্সমিশন লাইন।
বাংলাদেশের সার্বিক বিদ্যুৎ-খাতের ইতিহাসে একটি বড় মাইলফলক প্রথম ইস্ট-ওয়েস্ট ইন্টারকানেকশন (EWIC-1) লাইনটি। বহুদিন বাংলাদেশের পাওয়ার ট্রান্সমিশন এর মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করেছে ৪০০ মেগাওয়াট ক্যাপাসিটির এই ইন্টারকানেকশনটি। ২০০৯ সালে এসে যমুনা সেতু দিয়ে আশুগঞ্জ থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ১,০০০ মেগাওয়াট ক্যাপাসিটির দ্বিতীয় ইস্ট-ওয়েস্ট কানেকশন(EWIC-2) স্থাপন করা হয়। এখনো EWIC-1 বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ট্রান্সমিশন লাইন। রূপপুর ২,৪০০ মেগাওয়াটের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পর পূর্বাঞ্চল থেকে পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্যুত দেওয়ার বদলে উল্টো পশ্চিমাঞ্চল থেকে পূর্বাঞ্চলে বিদ্যুৎ পাঠাতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে এই ইন্টারকানেকশনটি...হয়তো এটিকেই পরে ৪০০কিলোভোল্ট ও আরো বেশি মেগাওয়াট ক্যাপাসিটির লাইন হিসেবে আপগ্রেড করা হবে অথবা এর সমান্তরালে নতুন হাইক্যাপাসিটি-হাইভোল্টেজ লাইন বসবে।
আমরা সড়কসেতু দেখি, রেলসেতু দেখি...আজ যমুনাসেতু দেশের উত্তরাঞ্চলের সাথে পূর্বাঞ্চলকে সংযুক্ত করার গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করছে, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় যার ভূমিকা অনন্য। কিন্তু নদীমাতৃক বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলের সাথে পূর্বাঞ্চলের সেতুবন্ধনের প্রথম ধাপ ছিলো এই EWIC-1 এর ক্রসিং।
স্বাধীন বাংলাদেশে নির্মিত প্রথম মেগাস্ট্রাকচার বললে মোটেও ভুল হবে না আমাদের অগোচরে থাকা এই ইনফ্রাস্ট্রাকচারকে
First East-West Inter Connection (EWIC-1) 230KV Jamuna Crossing (1982)
উইকিপিডিয়া,ফেইসবুক ও ইন্টারনেট হতে তথ্য, ছবি সংগৃহীত
তথ্যসূত্র:
[1] Jamuna River 230 kV crossing-Bangladesh I. Design of foundations
[2] Jamuna River 230 kV crossing-Bangladesh II. Design of transmission line
[3] Jamuna River 230 kV Crossing-Bangladesh III. Construction of foundations
[4] Jamuna River 230 kV Crossing-Bangladesh IV. Construction of transmission line
,
,
No comments:
Post a Comment