ইলেক্ট্রিক্যাল টেকনোলজি
বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ। আর বিজ্ঞানের এই অভূতপূর্ব অগ্রগতিতে যে জিনিস কার্যকারী ভূমিকা রেখে চলেছে তা হল ইলেকট্রিসিটি বা বিদ্যুৎ । আজকের এই সভ্যতা বিদ্যুৎ এর আলোতে আলোকিত। বিদ্যুতের আবিষ্কার সভ্যতাকে দিয়েছে নতুন মাত্রা। দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত প্রত্যেকটি জিনিস যেমন লাইট, ফ্যান, এসি, মোবাইল, কম্পিউটার ইত্যাদি বিদ্যুৎ ছাড়া চলতে পারে না। যে মোবাইল, কম্পিউটার, পুরো পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে সেই মোবাইল, কম্পিউটারও বিদ্যুৎ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত । গরমের দিনে যে ফ্যান ও এসি মানুষের জন্য শান্তি বয়ে নিয়ে আসে তাও বিদ্যুত দ্বারা নিয়ন্ত্রিত । তাই এ কথা চূড়ান্তভাবে বলা যায়, বর্তমান সভ্যতা এক সেকেন্ডেও বিদ্যুৎ ছাড়া চলতে পারে না।এ জন্য ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া ও গবেষণা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই উদ্দেশ্যে ডিপ্লোমা-ইন-ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার তার অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছে। বিজ্ঞানী ভোল্টা কর্তৃক বিদ্যুৎ আবিস্কারের পর থেকেই মূলতঃ আধুনিক সভ্যতার যাত্রা শুরু। বিদ্যুৎ ছাড়া আমাদের জীবন যেমন অচল, ইলেক্ট্রিক্যাল টেকনোলজি ছাড়াও পৃথিবী তেমনি অচল। কৃষি নির্ভর এবং শিল্পনির্ভর অর্থনীতি এখন পরিপূর্ণভাবে বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল। ভারী শিল্প থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র কুটির শিল্প এবং গ্রাম্য কৃষি উপকরণ আজও বিদ্যুতের নিয়ন্ত্রণে। বর্তমান সভ্যতার সকল আধুনিক উপকরণসহ বেঁচে থাকার জন্য যুগোপযোগী Medical Science-এর সকল উপকরণই বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রিত। Electrical Technology কে বাদ দিয়ে সভ্যতার সকল উপকরণই অর্থহীন। সুতরাং বলা যায় সভ্যতার সর্বত্র বিদ্যুতের গুরুত্ব অপরিসীম এবং এর গুরুত্ব চিরদিনই থাকবে। ফলে Electrical Technology এর চাহিদা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
No comments:
Post a Comment