Friday, December 1, 2023

PLC কি ? এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা কর।

 PLC কি ?

পি এল সি (PLC) পূর্ণ নাম প্রোগ্রামএবল লজিক কন্ট্রোলার (Programmable Logic Controller)। এটি এমন একটি ডিভাইস যার সাহায্যে অতি সহজেই অন্যান্য যন্ত্র কন্ট্রোল করা যায়।এটি এক প্রকার ইন্ডাস্ট্রিয়াল কম্পিউটার কন্ট্রোল সিস্টেম যা ইনপুটে কোন প্রকার সিগন্যাল পাওয়ার সাথে সাথে একটি ডিসিশন মেক করবে কাস্টম প্রোগ্রামের উপর নির্ভর করে এবং আউটপুট কন্ট্রোল করবে।পিএলসি সাধারণত মাইক্রোপ্রসেসর নিয়ে গঠিত যাকে কম্পিউটারের সাহায্যে প্রোগ্রাম করতে হয়। প্রোগ্রামটি মূলত কম্পিউটারের সফটওয়্যারে লিখতে হয় এবং তা ক্যাবলের সাহায্যে পিএলসিতে লোড করা হয়।

PLC কোথায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে?

আমরা জানি পিএলসি একটি ডিজিটাল কম্পিউটার যা বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কন্ট্রোল করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।যেকোন মেশিন অটোমেশন, নিউক্লিয়ার পাওয়ার জেনারেশন প্লান্ট, রাসায়নিক শিল্পকারখানা, অটোমেটেড শিল্পকারখানা, হোম অটোমেশন,সিমেন্ট কারখানার, ফুড কারখানার,বায়োমেডিক্যাল,ইরোবটস উৎপাদন এবং নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

Brand Name of PLC:

বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানির পিএলসি বাজারে রয়েছে। তবে এদের মধ্যে কিছু পরিচিত পিএলসির তালিকা নিচে দেওয়া হলো। এদের গঠন ভিন্ন হওয়ায় Programming এর সময় গঠন অনুযায়ী Program করতে হয়। 

1.ডেল্টা পিএলসি( Delta)

2.এলেন ব্র্যাডলি( Allen Bradley)

3.মিটসুবিশি(Mitsubishi)

3.ফুজি(fuzzi)

4.পেনাসনিক ( Panasonic)

5.ওমরন (Omron)

6.এল এস ( LS)

7.টশিবা(Toshiba)

8.সিমেন্স (Siemens)

9.ফাটেক ( Fatek )

10.স্ট্যাইডার(Schneider)

পিএলসি কিভাবে কাজ করে থাকে?

পিএলসি এক প্রকার মাইক্রোকন্ট্রোলার বেইজড কন্ট্রোল সিস্টেম। এতে একটি প্রোগ্রামএবল মেমোরি থাকে যা বিভিন্ন প্রকার ইনস্ট্রাকশন স্টোর করে থাকে। এর মাধ্যমে এরিথমেটিক(গাণিতিক), লজিক্যাল, সিকুয়েন্সিং, টাইমিং ইত্যাদি কার্যবলি সম্পাদন করা হয়।পিএলসি কাজ নির্ভর করে প্রথম ধাপ যে ইনপুট সিগন্যাল দেয়া হবে তা লেডার ডায়াগ্রামের মাধ্যমে প্রসেসিং হয়ে দ্বিতীয় ধাপে কাঙ্খিত আউটপুট সিগন্যাল পাওয়া যাবে। এর সাহায্যে অন্যান্য ডিভাইস সহজেই কন্ট্রোল করা যায়।

পিএলসি তিনটি প্রধান সেকশন রয়েছেঃ

  • .পাওয়ার সাপ্লাই
  • .ইনপুন\আউটপুট
  • .সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট

1.পাওয়ার সাপ্লাই:

পিএলসিকে একটিভ করার জন্য অবশ্যই একটি পাওয়ার লাগবে। পাওয়ার সাপ্লায়ের কাজ মূলত ইনপুট, সিপিইউ এবং আউটপুটকে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা। আর একটি কথা, এতে আর্থিং থাকতেই হবে। আর্থিং না করা থাকলে প্রোগ্রাম ঠিকমত রান নাও করতে পারে এমনকি ডিলিট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

বিভিন্ন পিএলসির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পাওয়ার কম বেশি হতে পারে। যেমন অনেক পিএলসি আছে যাদের অপারেট করতে ১১৫ ভোল্ট থেকে ২৪০ ভোল্ট এসি/ডিসি প্রয়োজন হয়। আবার অনেক পিএলসি রয়েছে শুধু ডিসি ২৪ ভোল্টে অপারেট করা যাবে।

2.ইনপুট:

এখানে বিভিন্ন প্রকার ইনফরমেশন প্রদান করা হয়ে থাকে। ইনপুট ডিভাইসে প্রাপ্ত তথ্যকে লেডার ডায়াগ্রাম অনুযায়ী আউটপুট ডিভাইসের বিভিন্ন অংশে পাঠানো হয়। ইনপুট সাধারণত বিভিন্ন প্রকার সুইচ( পুশ সুইচ, লিমিট সুইচ, টোগেল সুইচ, প্রেশার সুইচ, লেভেল সুইচ ইত্যাদি), সেন্সর( প্রক্সিমেটি সেন্সর, টেম্পারেচার সেন্সর, গ্যাস সেন্সর ইত্যাদি), তাপমাত্রা ইনফরমেশন, ভেরিয়েবল ভোল্টেজ ইত্যাদি ইনফরমেশন সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিটকে পাঠায়।

3.আউটপুট:

সেন্ট্রাল প্রসেসিং থেকে আগত তথ্যকে রিলে সুইচের মাধ্যমে মেশিনে পাঠানো হয়ে থাকে ও মেশিন সেই অনুযায়ী কাজ করে।মেশিনে সেন্সর সহ অন্যান্য ডিভাইসের মাধ্যমে পুনরায় ইনপুটে তথ্য প্রদান করে থাকে এবং এইভাবে চক্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয় ভাবে চলতে থাকে। আউটপুট সাধারণত ম্যাগনেটিক কন্ট্রাক্টর, রিলে, সলিনয়েডস, ইমারজেন্সি এলাম, মোটর, হিটার ইত্যাদি। 

সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট:

ইনপুট হতে আগত তথ্যগুলোকে লেডার ডায়াগ্রাম অনুযায়ী আউটপুট ডিভাইসের বিভিন্ন অংশে পাঠানো হয়ে থাকে। এছাড়া ইনপুট ডিভাইসের প্রাপ্ত তথ্যর সাথে সিপিইউ ডায়াগ্রাম অনুযায়ী নিজস্ব কিছু তথ্য সংযোগ হতে পারে ।

পি এল সি প্রোগ্রামিং সফটওয়্যার:

প্রথমে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে আপনি কোন ব্র্যান্ডের পিএলসি ব্যবহার করবেন। এক একটা ব্র্যান্ডের পিএলসির জন্য আলাদা আলাদা সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয় ।এরপরেই সেই ব্র্যান্ড অনুযায়ী PLC সফটওয়্যার পিসিতে ইনস্টল করে নিতে হবে।

পিএলসি সিপিইউ:

পি এল সি সিপিইউতে আপনি চাইলে এক্সটারনাল ইনপুট আউটপুট বাড়িয়ে নিতে পারেন। ধরেন আপনি ৩৬ টি ইনপুট এবং ২৪ টি আউটপুট ব্যবহার করতে পারছেন কিন্তু আপনার ইনপুট ও আউটপুট আরো বেশি লাগবে, সেক্ষেত্রে এক্সটারনাল মডিউল যোগ করে করতে পারেন এবং এটা খুবই সহজ।কিন্তু সব পিএলসির ক্ষেত্রে আপনি ইচ্ছা করলেই ইনপুট ও আউটপুট এক্সটেনশন করতে পারবেন না। একমাত্র মডুলার পিএলসিতে এক্সটেনশন সম্ভব। অর্থাৎ একটি কম্পাক্ট পিএলসি এবং অপরটি মডুলার পিএলসি।

কমিউনিকেশন ক্যাবল:

পিএলসির জন্য ভালো মানের ক্যাবল এবং কনভার্টার ব্যবহার করাই উত্তম। কারন বাজারে বিভিন্ন ক্যাবল পাওয়া যায় যা ঠিকমত কাজ করে না। একারনে পিএলসি কমিউনিকেশন ক্যাবল পিএলসি যে কোম্পানির সেই কোম্পানি থেকেই নেওয়া উচিত। যদিও ক্যাবলের দাম অনেক বেশি হয়ে থাকে।

পিএলসি প্রোগ্রামিং ভাষা দুই প্রকারঃ 

  1. Graphical Language 
  2. Textural Language 

পিএলসি প্রোগ্রামিং এ Graphical Language  দুই প্রকারঃ 

  1. Ladder Diagram Language(LD)
  2. Functional Block Diagram Language(FBD)

পিএলসি প্রোগ্রামিং এ Textural Language  তিন প্রকারঃ 

  1. Instruction List (IL) Language
  2. Structural Text (ST) Language 
  3. Sequential Function Chart (SFC) Language 
  4.  

 

 

পিএলসি প্রোগ্রামিং ভাষা:

  • Ladder Diagram (LD)

  • Function Block Diagram (FBD)

  • Instruction List (IL)

  • Structural Text (ST)

  • Sequential Function Chart (SFC)

ইলেকট্রিক অ্যাপ্লায়েন্স বলতে কি বুঝ? বিভিন্ন প্রকার ইলেকট্রিক অ্যাপ্লায়েন্স এর নাম লিখ এবং যে কোন সমস্যা হলে তা সমাধানের প্রক্রিয়া লিখ।

 প্রশ্নঃ ইলেকট্রিক অ্যাপ্লায়েন্স বলতে কি বুঝ?

উত্তরঃ ইলেকট্রিক অ্যাপ্লায়েন্স হল নিদিষ্ট কোন কাজ সম্পাদনের জন্য প্রস্তুতকৃত বৈদ্যুতিক ইন্সট্রমেন্ট বা বৈদ্যুতিক ডিভাইস । এ  ইলেকট্রিক অ্যাপ্লায়েন্স এর মাধ্যমে মানব সভ্যতায় প্রয়োজনীয় গৃহস্থলীর বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করা হয়। তাই একে ইলেকট্রিক হোম অ্যাপ্লায়েন্সও বলে। যেমনঃ সিলিং ফ্যান, টেবিল ফ্যান, রাইস কুকার, ফ্রিজ, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, এ সি, হেয়ার ড্রায়ার, ওয়াসিং মেশিন, ব্লেন্ডার, আয়রন, কফি মেকার, কেটলি, স্টোভ, সোল্ডারিং আয়রন, ওয়াটার হিটার, হট প্লেট, টোস্টার, টেলিভিশন, ক্যামেরা ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ  বিভিন্ন প্রকার ইলেকট্রিক অ্যাপ্লায়েন্স এর প্রকাভেদ অনুসারে নাম লিখ ।এবং যে কোন সমস্যা হলে তা সমাধানের প্রক্রিয়া লিখ। 

উত্তরঃ বিভিন্ন প্রকার ইলেকট্রিক অ্যাপ্লায়েন্স এর প্রকাভেদ অনুসারে নাম হলঃ 

  1. কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স(Kitchen Appliances): মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ডিশওয়াশার ইত্যাদি 
  2. হিটিং অ্যাপ্লায়েন্স(Heating Appliances): রুম হিটার, ইলেকট্রিক কেটলি, ইলেকট্রিক আয়রন ইত্যাদি।
  3. রেফ্রিজারেশন অ্যাপ্লায়েন্স(Refrigeration Appliances): ফ্রিজ, কোল্ড ড্রিংক মেশিন ইত্যাদি।
  4. ক্লিনিং অ্যাপ্লায়েন্স(Cleaning Appliances): ওয়াশিং মেশিন, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ইত্যাদি।
  5. এয়ারকন্ডিশনার অ্যাপ্লায়েন্স(Air Conditioner Appliances): রুম এয়ারকন্ডিশনার, ভেন্টিলেশন ফ্যান ইত্যাদি। 
  6. অডিও-ভিজুয়্যাল অ্যাপ্লায়েন্স(Audio-Visual Appliances): টেলিভিশন, ক্যামেরা ইত্যাদি।
  7. কসমেটিক কেয়ার অ্যাপ্লায়েন্স(Cosmetic Care Appliances): হেয়ার ড্রয়ার, ইলেকট্রিক শেভার ইত্যাদি।
  8. অন্যান্য অ্যাপ্লায়েন্স(Other Appliances): স্মোক এলাম, বেল ইত্যাদি। 
  • ইলেকট্রিক আয়রনঃ 

প্রশ্নঃ বৈদ্যুতিক আয়রন কি? কত প্রকার? আলোচনা কর?

উত্তরঃ বৈদ্যুতিক ইস্ত্রি এমন একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র বা ডিভাইস এর মাধ্যমে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রুপান্তরিত করে মানুষের প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়। এটি একটি ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স, যা তাপ প্রয়োগের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাপড় মসৃণ করা যায়।

ইলেকট্রিক আয়রনের প্রকারভেদ: ইলেকট্রিক আয়রন প্রধানত তিন প্রকার। যথা:

(ক) সাধারণ আয়রন,

(খ) স্বয়ংক্রিয় আয়রন,

(গ) স্টিম আয়রন।

সাধারন আয়রন ও স্বয়ংক্রিয় আয়রন এর মধ্যে পার্থক্য:

(ক) সাধারন আয়রন: সাধারন আযরনকে কারেন্ট সরবরাহ লাইনে সংযোগ করা হয়, তখন হিটিং এলিমেন্ট তাপ সৃষ্টি করে, ফলে সোল প্লেটটি উত্তপ্ত হয়। যতক্ষণ আয়রনের প্লাগ লাইনে লাগানো থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত হিটিং এলিমেন্ট তাপ সৃষ্টি করতে থাকে। অধিক তাপ রোধের জন্য ব্যবহার কারীরক মাঝে মধ্যেই আয়রনকে কারেন্ট সরবরাহ হতে বিচ্ছিন্ন করতে হয় এবং আবার যখন আয়রন ঠান্ডা হয়, তখন আবার কারেন্ট সরবরাহ সংযোগ করতে হয়। এ প্রকার আয়রনকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।

(খ) স্বয়ংক্রিয় আয়রন: স্বয়ংক্রিয় আয়রনকে থার্মোস্ট্যাট থাকে, যা কারেন্টকে আপনা-অাপনি অন-অফ করে, ফলে আয়রনটি একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় বজায় রাখে। যখন ইস্ত্রিটি তাপমাত্রায় পূর্বনির্ধারিত সীমা অতিক্রম করে, তখন অটোমেটিকভাবে কারেন্ট প্রবাহ বন্ধ করার জন্য থার্মোস্ট্যাটটি একজোড়ৃ সংযোগ বিন্দুগুলোকে পুনঃবন্ধ করে, ফলে আবার কারেন্ট প্রবাহিত হতে থাকে। ইস্ত্রির হাতলে বা বহিরাবরণে একটি তাপ নিয়ন্ত্রণ নব, ডায়াল থাকে, যার সাহায্যে ব্যবহারকারী কে কাপড় ইস্ত্রি করতে হবে, তার ধরন অনুযায়ী তাপমাত্রা নির্ধারণ করে। নব ঘুরানোর ফলে স্প্রিং এর উপর চাপ কমবেশি হয়। তাতে সংযোগ খুলে যাবার পূর্বে থার্মোস্ট্যাটিক ফলকটি কতটুকু বেঁকে যাবে এবং এ কাজের জন্য কতটুকু তাপমাত্রার প্রয়োজন, তা বির্ধারণ করে। এক ধরনের আয়রন হতে অন্য ধরনের আয়রন গঠনের দিক দিয়ে থার্মোস্ট্যাট বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে।

(গ) স্টিম আয়রনঃ যে আয়রনের উপরের দিকে একটি স্ট্রিম চেম্বার বা ওয়াটার  ট্যাংক থাকে। রিলিজ বাটন পুশ করে এই স্ট্রিম চেম্বারটি মাঝে মাঝে পানি দিয়ে পূর্ণ করতে হয় যাতে আয়রনের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন করা যায় তাকে স্টিম আয়রন বলে। 

বৈদ্যুতিক আয়রনের বিভিন্ন অংশ

(১) নন্-অটোমেটিক আয়রন-এর বিভিন্ন অংশ:

পাশে একটি Ordinary Iron এর বিভিন্ন অংশের বর্ণণা দেয়া হলো:

১) সোল প্লেট,

২) হিটিং এলিমেন্ট,

৩) প্রেসার প্লেট বা ওয়েট প্লেট,

৪) আয়রন কেস,

৫) হ্যান্ডেল,

৬) ইনস্যুলেটিং ম্যাটেরিয়্যাল,

৭) টার্মিনাল হাউজিং,

৮) আয়রন সার্পোট।

(২) একটি অটোম্যাটিক আয়রন-এর বিভিন্ন অংশ

নিম্নে Automatic Iron এর বিভিন্ন অংশের বর্ণনা দেয়া হলো:

১) সোল প্লেট,

২) হিটিং এলিমেন্ট,

৩) প্রেসার প্লেট বা ওয়েট,

৪) আয়রন কেস,

৫) হ্যান্ডেল,

৬) ইনস্যুলেটিং ম্যাটেরিয়াল,

৭) টার্মিনাল হাউজিং,

৮) আয়রন সাপোর্ট,

৯) থার্মোস্ট্যাট,

১০) পাইলট ল্যাম্প,

১১) কন্টাক্ট পয়েন্ট,

১২) হিট অ্যাডজাস্টমেন্ট নব ইত্যাদি।

(৩) একটি স্টিম আয়রনের বিভিন্ন অংশ:

১) ছিদ্র যুক্ত নন্ স্টিক সোল প্লেট,

২) টিউব টাইপ হিটিং এলিমেন্ট,

৩) আয়রন স্ট্রিপ কানেকটর ফর হিটিং এলিমেন্ট,

৪) থার্মোস্ট্যাট,

৫) আয়রন কেস,

৬) স্টিম চেম্বার বা ওয়াটার ট্যাংক,

৭) হ্যান্ডেল,

৮) ফিল্টার,

৯) কন্ট্রোল পয়েন্টার বা টেম্পারেচার কন্ট্রোল ডায়াল,

১০) স্কেল,

১১) স্প্রে নজ্ল,

১২) ওয়াটার ট্যাংক রিলিজ বাটন,

১৩) ইন্ডিকেটর লাইট,

১৪) কন্ট্রোল রড,

১৫) রিয়ার কভার,

১৬) কর্ড-গার্ড।

নিম্নে বিভিন্ন প্রকার আয়রনের বিভিন্ন অংশের বর্ণনা দেয়া হলো:

১। সোল প্লেট: সোল প্লেট তৈরি করা হয় কাঁচা লোহা দ্বারা এবং এর নিচের অংশ নিকেল করা থাকে, যা দেখতে কাচেঁর মত লাগে। এর উপরের অংশও সমান। এর মধ্যে প্যাঁচকাটা ছিদ্র আছে। মূলত এটিই উত্তপ্ত হয়ে কাপড় ইস্ত্রি করা হয়।

২। হিটিং এলিমেন্ট: ইলেকট্রিক্যাল ডিভাইসে হিটিং এলিমেন্ট হলো এমন একটি ডিভাইস বা কয়েল যার মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হওয়ার সময় এতে তাপ শক্তির উদ্ভব ঘটে। হিটিং এলিমেন্ট হলো এমন একটি ডিভাইস বা কয়েল যার মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহতি হওয়ার সময় এত তাপ শক্তির উদ্ভব ঘটে। হিটিঙ এলিমেন্ট সাধারণত নাইক্রোম তার দ্বারা তৈরি করা হয়ে থাকে এবং মাইকা শীট দ্বারা প্যাঁচাবে থাকে। এলিমেন্টের উপরে ও নিচের অংশে পুরো মাইকা শীট দ্বারা এলিমেন্টের সাথে রিভেট করা থাকে। ইলেকট্রিক আয়রনের এলিমেন্ট বিভিন্ন ওয়াটের হয়ে থাকে, যেনম- 450, 750 ও 1000 ওয়াট। সাধারণ ইস্ত্রির এলিমেন্ট 450 ও 750 ওয়াটের হয়ে থাকে এবং স্বয়ংক্রিয় আয়রনের এলিমেন্ট 750 ও 1000 ওয়াটের হয়ে থাকে।

৩। প্রেসার প্লেট: প্রেসার প্লেট হিটিং এলিমেন্টকে দুটি মেশিন স্ক্রর দ্বারা চাপ দিয়ে ধরে রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যদি প্রেসার প্লেট ঢিলা থাকলে এলিমেন্ট খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে। ষোল প্লেটের মতো প্রেসার প্লেটের নিচের অংশ মসৃণ হয়। সোল প্লেট ও প্রেসার প্লেট এর মধ্যে সংযোজন অসমান হলে খুব তাড়াতাড়ি এলিমেন্ট ফিউজ হয়ে যায়। লোহা দ্বারা এ প্রেসার প্লেট তৈরি করা হয়।

৪। কভার ও হাতল: ইস্ত্রির হাতল ও কভারকে হুড অ্যাসেম্বলী বলে। লোহার শীট দ্বারা এর কভার তৈরি করা হয়। এর উপর নিকেল প্লেটিং করা থাকে এবং এর মধ্যে টার্মিনাল বক্স থাকে। এ বক্সের মধ্যে লোহার পাত দ্বারা তৈরি এলিমেন্ট সংওযোগ এর পাত থাকে। কভারটি নাট-বোল্টের সাহায্যে অাটকানো হয় এবং টার্মিনাল বক্সটি একটি ব্যাক কভারের সাহায্যে মেশিন স্ক্রর মাধ্যমে অাটকানো হয়ে থাকে। হাতলের ব্যাকে প্লাস্টিকের তৈরি ইনসুলেটর থাকে।

৫। নির্দেশক বাতি বা পাইলট ল্যাম্প: ইস্ত্রিতে নির্দেশক বাতি বা পাইলট ল্যাম্প রেজিস্টরের সাথে সিরিজে সংযোগ থাকে। পাইলট ল্যাম্প যখন আলো দিবে, তখন বুঝতে হবে লাইন চালু আছে। আর উত্তাপ হিট বেশি হলে থার্মোস্ট্যাট লাইন অফ করে দিলে পাইলট ল্যাম্প আলো দিবে না।

৬। রোটারি সুইচ: ইস্ত্রিতে রোটারি সুইচ এর মাধ্যমে তাপমাত্রা বাড়ানো বা কমানো হয়।

৭। থার্মোস্ট্যাট সুইচ: থার্মোস্ট্যাট এর প্রধান কাজ বৈদ্যুতিক ইস্ত্রির তাপমাত্রাকে কন্ট্রোল করা। অর্থাৎ তাপমাত্রা কম হলে লাইন অন করা ও তাপমাত্রা বেশি হলে লাইন অফ করা।

৮। ইনস্যুলেটিং ম্যাটেরিয়াল: ইস্ত্রিতে ইনস্যুলেটিং ম্যাটেরিয়াল হিটিং এলিমেন্টের উপরে ও নিচের দিকে স্যান্ডউইচ ভাবে থাকে, যাতে কোন সময় হিটিং এলিমেন্ট সহজে বডি হতে না পারে। ইনস্যুলেটিং ম্যাটেরিয়াল হিসেবে , পোর্সিলিন, অ্যাসবেস্টস শীট, মাইকা ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়।উইকিপিডিয়া ও ইন্টারনেট হতে তথ্য, ছবি সংগৃহীত

সাম্প্রতিক পোস্ট সমূহ

Recent Posts Widget