Friday, December 1, 2023

ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন এ ওভারহেড লাইন বলতে কি বুঝ ? ওভারহেড লাইন এর উপাদান গুলো কি কি।

 প্রশ্নঃ ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন এ ওভারহেড লাইন বলতে কি বুঝ ?

উত্তরঃ ওভারহেড লাইন মূলত একটি কাঠামো যার সাহায্যে দূরবর্তী স্থানে বিদ্যুৎ শক্তি প্রেরন ও বিতরণ করা হয়। এটি সাধারণত টাওয়ার ও পোল দ্বারা নির্মাণ করা হয় । সাধারণত একটি ওভারহেড লাইনের সফল অপারেশন লাইনের মেকানিক্যাল ডিজাইনের উপর নির্ভরশীল। এই লাইন গুলো বিভিন্ন কারনে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। তাই ওভারহেড লাইন গুলো যাতে প্রতিকুল পরিবেশে টিকে থাকতে পারে সে জন্য নির্মাণ করার সময় এর সঠিক ডিজাইন  ও সেফটি ফ্যাক্টর সহ বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে নির্মাণ করা জরুরী । এছাড়া সম্ভাব্য প্রতিকুল আবহাওয়ায় টিকে থাকার জন্য এর যান্ত্রিক শক্তিকে বেশী প্রাধান্য দেওয়া উচিৎ । 

প্রশ্নঃ ওভারহেড লাইন এর উপাদান গুলো কি কি। 

উত্তরঃ ওভারহেড লাইন এর উপাদান গুলো হলঃ 

  1. কন্ডাক্টর (Conductor)
  2. সাপোর্ট (Support)
  3. ইনসুলেটর (Insulator)
  4. ক্রস আর্ম (Cross Arm)
  5. গাই ও স্টে (Guy and Stay)
  6. ফিউজ ও আইসুলেটিং সুইচ (Fuses & Isolating Switches)
  7. লাইটনিং অ্যারেস্টর  (Lightning Arrester)
  8. অবিচ্ছিন্ন আর্থ তার ( Continuous earth wire)
  9. গার্ড ওয়্যার (Guard wire)
  10. ভাইব্রেশন  ড্যাম্পার ( Vibration Dampers) 
  11. জাম্পার (Jumpers)
  12. পাখি রক্ষক (Bird Guards) 
  • কন্ডাক্টর (Conductor)ঃ কন্ডাক্টর এর মাধ্যমে ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ারকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রেরন করা হয়। ওভারহেড লাইনের কন্ডাক্টর তৈরিতে কপার, অ্যালুমিনিয়াম, স্টিল কোরড অ্যালুমিনিয়াম, গ্যাল্ভানাইজড স্টিল, ক্যাডমিয়াম কপার ইত্যাদি উপাদান ব্যবহার করা হয়। 

  • সাপোর্ট (Support)ঃ ওভারহেড লাইনের সাপোর্ট বলতে টাওয়ার, খুটি বা পোল(Pole) ইত্যাদিকে বুঝানো হয়। এই সাপোর্ট গুলো ওভারহেড লাইনের কন্ডাক্টর গুলোকে ভুমি থেকে নিরাপদ দূরত্বের উপরে ধরে রাখতে সাহায্য করে। ওভারহেড লাইনে কি ধরনের লাইন সাপোর্ট প্রয়োজন হবে তা লাইনের কার্যকরী ভোল্টেজের উপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা হয়। 

  • ইনসুলেটর (Insulator)ঃ ইনসুলেটর (Insulator) কন্ডাক্টর এর সাপোর্ট হিসাবে কাজ করে। সেই সাথে ভুমি থেকে কন্ডাক্টরকে ইন্সুলেট করে রাখতেও সাহায্য করে। ওভারহেড লাইনের ইন্সুলেটর গুলো পিন, স্ট্রেইন, সাসপেনশন, শ্যালক ইত্যাদি ধরনের হয়ে থাকে। 

  • ক্রস আর্ম (Cross Arm)ঃ ক্রস আর্ম (Cross Arm) গুলো ইন্সুলেটরকে বহন করে থাকে। ক্রস আর্ম (Cross Arm) সাধারণত স্টিলের অ্যাঙ্গেল সেকশন বা কাঠের হয়ে থাকে। পোলের মাথার দিকে নাট বোল্ট, ক্ল্যাম্প ইত্যাদির সাহায্যে এ গুলোতে ইন্সুলেটর আটকানো হয়। 

  • গাই ও স্টে (Guy and Stay)ঃ ডিস্ট্রিবিউশন লাইনের যে সমস্ত টাওয়ার বা পোলে কোন কারনে হেলে পড়ার সম্ভাবনা থাকে, সে সব টাওয়ার বা পোলকে গাই ও স্টে ক্যাবলের সাহায্যে টানা দেওয়া হয়। উচ্চ টান সহন ক্ষমতা সম্পন্ন স্টিলের ক্যাবল স্টে ক্যাবল হিসাবে ব্যবহার করা হয়। স্টে ক্যাবলের এক মাথা পোলের মাথার দিকে ক্ল্যাম্প দিয়ে আটকিয়ে অপর মাথা গাই ইন্সুলেটর হয়ে সেন্ট সেটের মধ্যে আটকে পোলকে টানা দেওয়া হয়। এর ফলে পোল হেলে পড়ার সম্ভাবনা থাকে না।

  • ফিউজ ও আইসুলেটিং সুইচ (Fuses & Isolating Switches)ঃ এর মাধ্যমে ওভারহেড সিস্টেমের বিভিন্ন অংশকে প্রয়োজন বোধে বিচ্ছিন্ন করা হয়।

  • লাইটনিং অ্যারেস্টর  (Lightning Arrester)ঃ অতিরিক্ত ভোল্টেজকে মাটিতে ডিসচার্জ করে লাইনকে রক্ষা করার জন্য ওভারহেড লাইনে লাইটনিং অ্যারেস্টর ব্যবহার করা হয়। 

  • অবিচ্ছিন্ন আর্থ তার ( Continuous earth wire)ঃ ব্রজপাতের কারনে সৃষ্ট অতিরিক্ত ভোল্টেজকে সহজে মাটিতে ডিসচার্জ করে লাইনকে রক্ষা করতে ওভারহেড লাইনের টাওয়ার বা পোলের সর্ব উপরে মাথা বরাবর এর অবিচ্ছিন্ন আর্থ তার টানা হয়। 

  • গার্ড ওয়্যার (Guard wire)ঃ যখন পাওয়ার লাইন টেলিফোন কিংবা টেলিগ্রাফ লাইনকে অতিক্রম করে তখন ঐ পাওয়ার লাইন গুলোর উপর ও নিচে গার্ড ওয়্যার (Guard wire) ব্যবহার করা হয়। এগুলো আর্থের সঙ্গে সংযোগ করা থাকে। 

  • ভাইব্রেশন  ড্যাম্পার ( Vibration Dampers) ঃ ওভারহেড লাইনে যাতে কম্পনের সৃষ্টি হতে না পারে সে জন্য ঝুলন্ত লাইনের ইন্সুলেটরে ভাইব্রেশন  দ্যাম্পার ( Vibration Dampers) বসানো হয়। 

  • জাম্পার (Jumpers)ঃ ওভারহেড লাইনে জাম্পার (Jumpers) কানেকশনের মাধ্যমে এক পরিবাহী তার থেকে আরেক পরিবাহী তারে সংযোগ করা হয়।

  • পাখি রক্ষক (Bird Guards)ঃ পাখি যাতে ইন্সুলেটর পিন ও ইন্ডাক্টর এর সাথে ফ্লাস ওভার করতে না পারে সে জন্য ক্রস আর্ম এ ইন্সুলেটরের উপরের দিকে এটি সংযোগ করা হয়। এটি অ্যাবোনাইটের তৈরী এবং এর উপরের দিকে করাতের দাঁতের মত লম্বা প্লেট বসানো থাকে। 

এছাড়াও ওভারহেড লাইনে আরও কিছু ছোট ছোট Component স্থাপন করা হয়। যেমনঃ Phase Plate, Danger Plate, Anti-Climbing wire, Guards ইত্যাদি। 

 

উইকিপিডিয়া ও ইন্টারনেট হতে তথ্য, ছবি সংগৃহীত

পার্থক্য লিখঃ রিলে এবং ম্যাগনেটিক কন্ট্রাক্টর, তার এবং ক্যাবল, 1Ø & 3Ø, অল্টারনেটর ও ডিসি জেনারেটর, এস.আই (পেট্রোল/গ্যাসোলিন) এবং সি.আই (ডিজেল) ইঞ্জিন।, সার্কিট ব্রেকার, অটো-রিক্লোজার, ফিউজ এবং আইসোলেটর। এয়ার সার্কিট ব্রেকার ও অয়েল সার্কিট ব্রেকার,

 প্রশ্নঃ পার্থক্য লিখঃ রিলে এবং ম্যাগনেটিক কন্ট্রাক্টর?

উত্তরঃ রিলে এবং ম্যাগনেটিক কন্ট্রাক্টর এর মধ্যে পার্থক্য 

রিলে ম্যাগনেটিক কন্ট্রাক্টর
  1. রিলে কম অ্যাম্পিয়ার রেটিং এর হয়ে থাকে(Max 20Amp.) 
  1. ম্যাগনেটিক কন্ট্রাক্টর বেশী অ্যাম্পিয়ার রেটিং এর হয়ে থাকে (Max 12,500Amp.)
2. রিলে সাধারণত কন্ট্রোল সার্কিট, অটোমেশন ও ইলেক্ট্রোনিক সার্কিটে ব্যাহার করা হয়। ২. ম্যাগনেটিক কন্ট্রাক্টর সাধারণত মোটর , ক্যাপাসিটর ব্যাংক, পাওরার সার্কিটে ব্যবহার করা হয়। 
3. রিলে সাধারণত সিঙ্গেল ফেজ এর হয়ে থাকে।3. ম্যাগনেটিক কন্ট্রাক্টর সাধারণত সিঙ্গেল ফেজ ও থ্রী ফেজ এর হয়ে থাকে। 
4. রিলের মধ্যে আর্ক নেভানোর কোন ব্যবস্থা থাকে না। 4. ম্যাগনেটিক কন্ট্রাক্টর এর মধ্যে আর্ক নেভানোর কোন ব্যবস্থা থাকে। 
5. রিলে সাইজে ছোট এবং দামে সস্তা হয়। 5. ম্যাগনেটিক কন্ট্রাক্টর সাইজে বড় এবং দাম রিলের তুলনায় বেশী। 

 

প্রশ্নঃ পার্থক্য লিখঃ তার এবং ক্যাবল?

উত্তরঃ তার এবং ক্যাবল এর মধ্যে পার্থক্য 

তার ক্যাবল 
1. শুধু একটি পরিবাহী থকবে।1. দুই বা ততোধিক পরিবাহী থাকবে। 
2. তার ইন্সুলেটর যুক্ত বা বিহীন হতে পারে। 2. ইহা অবশ্যই ইন্সুলেটর যুক্ত হতে হবে। 
3. তার ইলেক্ট্রিসিটি পরিবহন ও মেকানিক্যাল লোড বহনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। 3. ক্যাবল ইলেক্ট্রিসিটি পরিবহন, রেডিও ও টেলিকমিউনিকেশন কাজে ব্যবহার করা হয়। 

 

প্রশ্নঃ পার্থক্য লিখঃ 1Ø & 3Ø?

উত্তরঃ 1Ø & 3Ø এর মধ্যে পার্থক্য 

1. দুটি তারের মাধ্যমে কানেকশন দেওয়া হয়। যার একটি লাইন, অপরটি নিউট্রাল। 1. চারটি তারের মাধ্যমে কানেকশন দেওয়া হয়। যার তিনটি ফেজ এবং একটি নিউট্রাল। 
2. শুধু সিঙ্গেল ফেজ লোড চালানো যায়। 2. সিঙ্গেল ফেজ এবং থ্রী ফেজ উভয় লোড চালানো যায়। 
3. কম লোডের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ বাসাবাড়ি, দোকান ইত্যাদি।3. বেশী লোডের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ মিল, কল-কারখানা  ইত্যাদি।
4. লস বেশী এবং দক্ষতা কম। 4. লস কম এবং দক্ষতা বেশী। 
5. ভোল্টেজ ২২০-২৩০ ভোল্ট। 5. ভোল্টেজ ৪০০-৪১৫ ভোল্ট। 

প্রশ্নঃ অল্টারনেটর ও  ডি সি জেনারেটরের সাথে তুলনাঃ 

ডিসি জেনারেটরের সাথে অল্টারনেটরের বেশ কিছু পার্থক্য বিশেষ গুরুত্বের দাবীদার।

অল্টারনেটরডিসি জেনারেটর
১. এতে পরিবর্তনশীল ভোল্টেজ উৎপন্ন হয় এবং স্লিপ রিং এর মাধ্যমে লোডে সরবরাহ করা হয়।১. এতে প্রাথমিক অবস্থায় পরিবর্তনশীল ভোল্টেজ উৎপন্ন হলেও পরে কম্যুটেটরের সাহায্যে ডি সি তে রুপান্তরিত করে লোডে সরবরাহ করা হয়।
২. এতে স্লিপ রিং থাকে।২. এতে কম্যুটেটর থাকে।
৩. চৌম্বক ক্ষেত্র ও আর্মেচার যেকোন একটি ঘুরন্ত এবং অপরটি স্থির থাকতে হবে ।৩. চৌম্বক ক্ষেত্র স্থির থাকবে ও আর্মেচার ঘুরবে।
৪. আর্মেচার ওয়াইন্ডিং খোলা থাকে।৪. আর্মেচার ওয়াইন্ডিং বন্ধ থাকে।
৫. ফিল্ডে ডি সি সাপ্লাই দিতে হয়।৫. আলাদা ডি সি সাপ্লাই দিতে হয়না।
৬. ফিল্ড কোর লেমিনেটেড শিট দ্বারা তৈরি।

৬. ফিল্ড কোর ঢালাই লোহার তৈরি।

 

প্রশ্নঃ এস.আই (পেট্রোল/গ্যাসোলিন) এবং সি.আই (ডিজেল) ইঞ্জিনের মধ্যে পার্থক্য (Difference Between S.I and C.I Engine) : 

উত্তরঃ 

1. পেট্রোল বা গ্যাসোলিন ইঞ্জিন অটোসাইকেলের উপর চলে এবং সি.আই. ইঞ্জিন ডিজেল সাইকেলের উপর চলে।

2. পেট্রোল বা গ্যাসোলিন ইঞ্জিনে সাকশনের সময় বাতাস এবং জ্বালানি সিলিন্ডারে প্রবেশ করে। ডিজেল ইঞ্জিনে সাকশনের সময় শুধুমাত্র বাতাস সিলিন্ডারে প্রবেশ করে।

3. পেট্রোল বা গ্যাসোলিন ইঞ্জিনের দহনকার্য সম্পাদনের জন্য ব্যাটারী , ইগনিশন কয়েল , সি.বি. পয়েন্ট , ডিস্ট্রিবিউটর এবং স্পার্কপ্রাগ ইত্যাদির প্রয়োজন হয়।ডিজেল ইঞ্জিনের দহনকার্য সম্পাদনের জন্য কম্প্রেশন স্ট্রোকের শেষে হাইপ্রেসার পাম্প ইনজেক্টরের সাহায্যে ডিজেল স্প্রে করে।

4. পেট্রোল বা গ্যাসোলিন ইঞ্জিনে জ্বালানি পদ্ধতির জন্য এ.সি. পাম্প এবং কারবুরেটর অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ডিজেল ইঞ্জিনে জ্বালানি পদ্ধতির জন্য হাইপ্রেসার পাম্প এবং ইনজেক্টরের অত্যন্ত প্রয়োজন।

5. পেট্রোল বা গ্যাসোলিন ইঞ্জিনের সঙ্কোচন অনুপাত 7 : 1 হতে 10:1 এবং ডিজেল ইঞ্জিনের সঙ্কোচন অনুপাত 12 : 1 হতে 20 : 1 (ইঞ্জিনের আকার আকৃতির উপর নির্ভর করে সংকোচন অনুপাত কমবেশি হতে পারে)

6. পেট্রোল বা গ্যাসোলিন ইঞ্জিন ওজনে হালকা । ডিজেল ইঞ্জিন ওজনে ভারী।

7. পেট্রোল বা গ্যাসোলিন ইঞ্জিনে উচ্চমানের তেল ব্যবহার করা হয় এবং ডিজেল ইঞ্জিনে নিম্নমানের তেল ব্যবহার করা হয়।

8. পেট্রোল বা গ্যাসোলিন ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা 25% এবং ডিজেল ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা 35%

9. পেট্রোল বা গ্যাসোলিন ইঞ্জিনের স্পীড এবং লোড কারবুরেটরের থ্রোটল ভালভ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। ডিজেল ইঞ্জিনের লোড এবং স্পীড গভর্ণর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।

10. পেট্রোল বা গ্যাসোলিন ইঞ্জিনের গঠন - প্রণালী সহজ ও সরল এবং ডিজেল ইঞ্জিনের গঠন - প্রণালী জটিল।

11. পেট্রোল বা গ্যাসোলিন ইঞ্জিনের আয়ু বেশি অর্থাৎ দীর্ঘদিন চালনা করা যায় এবং ডিজেল ইঞ্জিনের আয়ু কম অর্থাৎ পেট্রোল বা গ্যাসোলিন ইঞ্জিনের মতো দীর্ঘদিন চালনা করা যায় না।

12. পেট্রোল বা গ্যাসোলিন ইঞ্জিনের দাম তুলনামূলক ভাবে কম । ডিজেল ইঞ্জিনের দাম বেশী ইত্যাদি।

 

 

 

প্রশ্নঃ পার্থক্য লিখঃ সার্কিট ব্রেকার,  অটো-রিক্লোজার, ফিউজ এবং আইসোলেটর। 

উত্তরঃ সার্কিট ব্রেকার,  অটো-রিক্লোজার, ফিউজ এবং আইসোলেটর এর মধ্যে পার্থক্য হলঃ 

সার্কিট ব্রেকারঅটো-রিক্লোজারফিউজআইসোলেটর
১। ইহা বর্তনীর অস্বাভাবিক অবস্থায় স্বয়ংক্রিয় ভাবে বর্তনীকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে। .১।ইহা বর্তনীর স্থায়ী ত্রুটি অবস্থায় স্বয়ংক্রিয় ভাবে বর্তনীকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে। .১। ইহা বর্তনীর অস্বাভাবিক অবস্থায় ফিউজ তার গলে গিয়ে বর্তনীকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে। .১।ইহা অস্বাভাবিক বা স্বাভাবিক অবস্থায় স্বয়ংক্রিয় ভাবে বর্তনীকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে না।
২। স্বাভাবিক অবস্থায় সার্কিটে সংযোগ বা বিচ্ছিন্ন করার জন্য সুইচের মত কাজ করতে পারে। ২। এ ধরনের ব্যবস্থা এতে নেই। ২। ফিউজে কোন সুইচ নেই তবে ফিউজ পুলার বা হাত দিয়ে খোলে ও বন্ধ করে স্বাভাবিক অবস্থায় সার্কিটে সংযোগ বা বিচ্ছিন্ন করা যায় কিন্তু তা বিপদজনক।২।আইসোলেটরের অপারেশন( খোলা বা বন্ধ করা) শুধু মাত্র অনুদ্যমশীল অবস্থায়ই সম্ভব। তবে অল্প কারেন্ট প্রবাহের ক্ষেত্রে চালু অবস্থায় খোলা বা বন্ধ করা যায়।
৩। ত্রুটি সংঘটিত হলে ইহা বর্তনীকে বিচ্ছিন্ন করে কিন্তু ইহা ত্রুটি চিহ্নিত করে না। ত্রুটি চিহ্নিত করে রিলে।৩।সার্কিট ব্রেকারের মত ব্যবস্থা এতেও আছে। ৩।ত্রুটি চিহ্নিত করন ও ত্রুটি দূরীকরণ উভয়ই একইসঙ্গে করে থাকে। ৩। এর এ ধরনের কোন ক্ষমতা নেই। 
৪। অপারেটিং টাইম ফিউজের চেয়ে বেশী (০.১ থেকে ০.৩ সেকেন্ড)৪। এ ক্ষেত্রে আরও কিছু বেশী সময় নেয়, তিন বার অপারেশনের জন্য। ৪।অপারেটিং টাইম সার্কিট ব্রেকারের চেয়ে অনেক কম (০.০০২ সেকেন্ড বা তার কাছাকাছি).৪। এর অপারেটিং টাইম বলতে কিছু নেই। 
৫। সার্কিট ব্রেকার পরিচালনার জন্য সিটি, পিটি, রিলে ট্রিপিং ব্যবস্থা ইত্যাদি আনুসাঙ্গিক যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয়। ৫। এ ক্ষেত্রেও ঐ সমস্ত যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয়।৫। এ গুলোর প্রয়োজন নেই। ৫। এ গুলোর প্রয়োজন নেই। 
৬। সার্কিট ব্রেকার হাই ভোল্টেজ লাইন এবং বিভিন্ন ইকুইপমেন্ট প্রোটেকশনের জন্য ব্যবহার করা হয়।৬। সাধারণত গ্রামীণ ব্যবস্থায় যেখানে ডিস্ট্রিবিউশন লাইনে ক্ষণস্থায়ী ফল্ট বেশী হয় সেখানে ইহার প্রয়োজন বেশী এবং বেশ ভাল ভাবেই কাজ করে। ৬। স্ফুলিঙ্গ নিবারনের ব্যবস্থা না থাকায় সাধারণত উচ্চ ভোল্টেজ লাইনে ব্যবহার করা যায় না। ৬।ইহা শুধু মাত্র সার্কিট ব্রেকারের আগে ও পরে লো এবং হাই ভোল্টেজ লাইনে ব্যবহার করা হয়। 
৭। প্রতিনিয়ত রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয়। ৭।প্রতিনিয়ত রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয়। ৭। তেমন কোন রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয় না।  ৭। তেমন কোন রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয় না।  
৮। এতে আর্ক নির্বাপণের বিশেষ ব্যবস্থা থাকে। ৮।এতে আর্ক নির্বাপণের বিশেষ ব্যবস্থা থাকে। ৮।এতে আর্ক নির্বাপণের বিশেষ ব্যবস্থা থাকে না। ৮। চালু অবস্থায় ওপেন করতে গেলে আরকিং হয় এবং প্রতিরোধের জন্য কোন ব্যবস্থা নেই। তাছাড়া এটি চালু অবস্থায় খোলা বা বন্ধ করা যায় না। 
.৯। সার্কিট ব্রেকারের গঠন খুব জটিল এবং দামও বেশী। .৯।অটো-রিক্লোজারের গঠন খুব জটিল এবং দামও বেশী।.৯। গঠন সহজ এবং দামও কম। .৯। গঠন সহজ এবং দাম কম কিন্তু ফিউজের চেয়ে বেশী। 

 

প্রশ্নঃ পার্থক্য লিখঃ এয়ার সার্কিট ব্রেকার ও অয়েল  সার্কিট ব্রেকার । 

উত্তরঃ এয়ার সার্কিট ব্রেকার ও অয়েল  সার্কিট ব্রেকার এর মধ্যে পার্থক্য হলঃ 

এয়ার সার্কিট ব্রেকারঅয়েল  সার্কিট ব্রেকার
১। এর গঠন জটিল। ১। এর গঠন অপেক্ষাকৃত সহজ সরল। 
২। অপারেশনের জন্য সর্বদা উচ্চ চাপের বায়ু মজুত রাখতে হয়। ২। অপারেশন তেলের মধ্যে সম্পন্ন হয়। 
৩। চলমান কন্ট্রাক্টকে খোলা ও বন্ধ এবং আর্ক নিবাপনের জন্য বায়ু ব্যবহৃত হয়।  ৩। ইন্সুলেশন ও আর্ক নির্বাপণের উদ্দেশ্যে তেল ব্যবহৃত হয়। 
৪। কন্টাক্ট গুলো বায়ু মাধ্যমে থাকে। ৪। কন্টাক্ট গুলো ইন্সুলেটিং তেলে ডুবানো থাকে। 
৫। আগুন লাগার সম্ভাবনা খুবই কম। ৫। তেল মাধ্যমে আগুন লাগার সম্ভাবনা থাকে। 
৬। আরকিং পিরিয়ড খুব কম হয়। ৬। আরকিং পিরিয়ড তুলনামূলক ভাবে বেশী। 
৭। আর্ক এনার্জি কম হওয়ায় কন্টাক্ট সমূহ কম ক্ষতি গ্রস্থ হয়। ৭। আর্ক এনার্জি বেশী হওয়ায় কন্টাক্ট সমূহ বেশী ক্ষতি গ্রস্থ হয়। 
৮। পুনঃ পুনঃ অপারেশনের উপযোগী। ৮। পুনঃ পুনঃ অপারেশনে ইন্সুলেটিং তেলের গুনাগুন নষ্ট হয় বলে এটি তেমন উপযোগী নয়। 
৯। কমপ্রেসর থেকে নতুন বায়ু প্রবেশ করে খুব তাড়াতাড়ি ডাই-ইলেকট্রিক শক্তি অর্জন করে। ৯। প্রতিবার অপারেশনে নতুন তেল ব্যবহার করা যায় না বলে এত তাড়াতাড়ি ডাই-ইলেকট্রিক শক্তি অর্জন করতে পারে না। 
১০। এটি বেশী ক্যাপাসিটি সম্পন্ন হয় না। ১০। বেশী ক্যাপাসিটি ইউনিট তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়। 

সাম্প্রতিক পোস্ট সমূহ

Recent Posts Widget