Friday, December 1, 2023

ইন্ডাস্ট্রিতে কেন এবং কি ভাবে থ্রী ফেইজ মোটরের স্টার - ডেল্টা কানেকশন করা হয়? , ইন্ডাস্ট্রিতে থ্রী ফেইজ মোটরে ডল-স্টাটার কানেকশন কেন এবং কি ভাবে করা হয়?

 

প্রশ্নঃ ইন্ডাস্ট্রিতে কেন এবং কি ভাবে থ্রী ফেইজ মোটরের স্টার - ডেল্টা কানেকশন করা হয়? 

উত্তরঃ কলকারখানায় থ্রী ফেইজ মোটর চালানোর জন্য স্টার - ডেল্টা কানেকশন করা হয় কারন 

মোটর গুলো সাধারনত ৩ফেজ ৪তারের হওয়ায় এতে উচ্চ ভোল্টেজ দরকার পড়ে। উচ্চ ভোল্টেজ স্টার-ডেল্টা কানেকশনে কন্ট্রোল করা সুবিধা জনক এবং নিরাপদ। এসব মোটরের কয়েলে উচ্চ ভোল্টেজ না দিলে প্রয়োজনীয় আরপিএম(RPM-Rotation per Minit) তৈরি হয় না এবং মোটর থেকে কাক্ষিত ফলাফল পাওয়া যায় না।।




 তাই ৩ ফেজ মোটর স্টার্টিং মুহুর্তে স্টার সংযোগ ও 40% রানিং হলে ডেল্টা সংযোগ দেওয়া হয়। এর জন্য 3 ফেজ স্টার্টার ব্যবহৃত হয়। (অটোমেটিক কাজ করানোর জন্য) কারন শুরুতে অধিক কারেন্ট দিলে (ডেল্টায় কারেন্ট বেশি) কয়েল পুরে যেতে পারে। একটি অফ মটর চালু কারার মুহূর্তে এটি সর্ট সার্কিট এর ন্যায় কাজ করে (অনেক কারেন্ট নিয়ে নেয়। তাই প্রথমে স্টার পরে ডেল্টা করাহয়। ৩ ফেজ মোটরের স্টার-ডেল্টা কানেকশনে মোটরের রেইঞ্জ সর্ব নিম্ম 5HP থেকে অধিক হওয়া প্রয়োজন। 

স্টার কানেকশনঃ থ্রী ফেইজ ব্যবস্থায় প্রতিটি কয়েলের একটি করে মাথা যদি এক সঙ্গে সংযুক্ত করে তবে তা স্টার বা নিউট্রাল বিন্দু তৈরী হয় তবে তাকে স্টার কানেকশন বলে। 

ডেল্টা কানেকশনঃ থ্রী ফেইজ ব্যবস্থায় যখন একটি ফেইজের শেষ প্রান্তকে দ্বিতীয় ফেইজের শুরুর প্রান্তে আবার দ্বিতীয় ফেইজের শেষ প্রান্তকে তৃতীয় ফেইজের শুরুর প্রান্তে  এবং পরের তৃতীয় ফেইজের শেষ প্রান্তকে প্রথম ফেইজের শুরুর প্রান্তে গ্রীক বর্ণমালা ডেল্টা বর্ণের ন্যায় সংযোগ করা হয় তখন তাকে ডেল্টা কানেকশন বলে।

প্রশ্নঃ ইন্ডাস্ট্রিতে থ্রী ফেইজ মোটরে  ডল-স্টাটার কানেকশন কেন এবং কি ভাবে করা হয়?

উত্তরঃ D.O.L এর পূর্ণ নাম হল Direct on Line. যে স্টাটার সরাসরি লাইনের সাথে যুক্ত থাকে তাকে Direct on Line স্টাটার বলে। এ ধরনের স্টাটার কারেন্ট কমাতে পারে না। তাই এ স্টাটার দ্বারা মোটরকে খুব তাড়াতাড়ি স্টাট বা বন্ধ করা যায়। 

ডল-স্টাটার কানেকশন দ্বারা সর্বচ্চ 5HP মানের মোটর চালানো উচিৎ। এর চেয়ে বেশী মানের মোটর চালালে ব্যয় এর পরিমাণ অনেক গুন বেড়ে যাবে তাই এক্ষেত্রে স্টার - ডেল্টা কানেকশন ব্যবহার করা উচিৎ। স্টার - ডেল্টা কানেকশন এ ব্যয় অনেক কম হবে। 

ডল-স্টাটার কানেকশন সিস্টেমের তাপমাত্রা স্টার - ডেল্টা কানেকশন সিস্টেমের তুলনায় তুলনামূলক বেশী থাকে। 

ডল-স্টাটার কানেকশনঃ 

ডল স্টাটার কন্ট্রোল সার্কিট ব্যবহার করা হয় ইন্ডাস্ট্রিতে Motor control / মোটর কন্ট্রোলিং এর জন্য ।ইন্ডাস্ট্রিতে থ্রি ফেজ রয়েছে এবং ইন্ডাস্ট্রিতে থ্রি ফেজ মোটর বেশি চালনা করা হয়ে থাকে ।যেহেতু ইন্ডাস্ট্রি মানে দ্রুত  উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠান ।সেখানে একটা মোটর দীর্ঘসময় চলতে থাকে।এজন্য একটা সুইচ এর মাধ্যমে যদি একটা মোটর চালানো করা হয় তাহলে ওই সুইচটা বেশি দিন টিকে থাকে না অর্থাৎ নষ্ট হয়ে যায় ।এজন্য ইন্ডাস্ট্রিতে পুশ বাটন সুইচ ব্যবহার করা হয় ।একটা নির্দিষ্ট সিস্টেমের মাধ্যমে একটা মোটর কে চালনা করা হয় ।এই নির্দিষ্ট সিস্টেমটাকে ডল স্টাটার কন্ট্রোল সার্কিট বা ম্যাগনেটিক ডল স্টাটার কন্ট্রোল সার্কিট বলা হয়ে থাকে ।

ডল স্টাটার কন্ট্রোল সার্কিট করতে আমাদের যে সকল কম্পোনেন্ট বা ডিভাইস লাগবে সেগুলো হলো……

  • Push Button Switch-2pcs
  • Magnatic contractor-1pcs
  • Load (motor)


 



দেখুন উপরের চিত্রে আমি দেখিয়েছি ম্যাগনেটিক ডল স্টাটার সার্কিট আপনারা কিভাবে বাস্তবে কানেকশন দিবেন ।এই কানেকশনটা থ্রি ফেজ মোটরের ক্ষেত্রে দেখানো হয়েছে ।তো এখানে আপনারা সিঙ্গেল ফেজ মোটর কিন্তু সহজে কানেকশন করতে পারবেন ।থ্রি ফেজ মোটরের জন্য তিনটা পেজ নিয়ে এসে কানেকশন করে সংযোগ করা হয় ।আর যদি আপনি সিঙ্গেল ফেজ মোটরের ডল স্টাটার কন্ট্রোল সার্কিট এর কানেকশন করেন তাহলে একটা ফেজ লাইন নিয়ে আপনি কানেকশন করবেন।আশা করি বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন ।

 

আর্থিং কি, কত প্রকার, কিবাবে আর্থিং করা হয়, কেন, কিভাবে, উপাদান সমূহ বিস্তারিত

 Earthing কাকে বলে?

উঃ আর্থিং হচ্ছে অনাকাঙ্খিত বিদ্যুৎ। অনাকাঙ্খিত বিদ্যুৎ থেকে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ও মানুস কে রক্ষা করতে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির ধাতু/মেটাল নির্মিত বহিরাবরণ থেকে বৈদ্যুতিক কারেন্টকে কোনো পরিবাহীর দ্বারা পৃথিবীর মাটিতে প্রেরণ করার ব্যবস্থা কে আর্থিং বলে।

আর্থিং এর প্রয়োজনীয়তা হলো:
১। Current Fault এর  সময় কারেন্ট কে মাটিতে যাতে নিরাপদে প্রেরণ করা, যাতে রক্ষন যন্ত্র বা নিরাপত্তা যন্ত্রপাতি Current Fault সার্কিট কে বিছিন্ন করতে পারে।
২। সিস্টেমের যে কোন অংশে বিভব যেন মাটির তুলনায় একটি নির্দিষ্টমানে থাকে, তার ব্যবস্থা করা ।
৩। Current Fault এরসময় যন্ত্রপাতির ভোল্টেজ যেন মাটির তুলনায় বিপদজনক পর্যায় না পৌছায় তা নিশ্চিত করা।

মানুষের শরীরের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত কারেন্ট = Is = 220/1000 = 0.220 Amp. = 220 mA.

( এক জন মানুষের রেজিস্ট্রেন্স = ১০০০ ওহম )

ধরা হয়, একজন মানুষ সবচেয়ে 150mA Current সজ্য করতে পারে। 

প্রশ্নঃ আর্থ রেজিস্ট্যান্স কি ভাবে মাপা হয়?

উত্তর:- মেগার আর্থ টেস্টারের সাহায্যে করা হয় ।

চিত্রের ন্যায় আর্থ লিডে কানেকশন দিয়ে আর্থ টেস্টারের Test বাটন প্রেস করলে মিটারে আর্থ রেজিস্ট্যান্স দেখাবে। এখানে ডিজিটাল ও এনালগ দুই ধরনের আর্থ টেস্টার দেখানো আছে। তবে এই কাজটি  অভিজ্ঞ কার কাছ থেকে প্রথমে শিখে নিলে ভাল (মাত্র এক ঘন্টার কম সময়ে শিখে নিতে পারেন)।
আর মোটামুটি ভাবে একটি ১০০ওয়াটের বাতি আর্থ তার লাইনের মধ্যে সংযোগ করার পর যদি উজ্জ্বল ভাবে জ্বলে , তাহলে আর্থিং ভাল আছে।

প্রশ্নঃ আর্থিং রেজিস্ট্যান্স কত হওয়া দরকার?

উত্তর:- বাসাবাড়ীর জন্য সর্বোচ্চ ৫ ~ ৮ ওহম এবং সাব স্টেশন এর জন্য সর্বোচ্চ ১ ~ ২ ওহম ও পাওয়ার প্লান্ট লাইনের জন্য সর্বোচ্চ ০.১ ~ ১.৫ ওহম হওয়া দরকার।

প্রশ্নঃ আর্থিং তারের রঙ্গিন সংকেত লিপি কী ?

উত্তর:- আর্থিং তারের রঙ সবুজ হয়। বর্তমানে আন্তর্জাতিক নিয়মে লাইভ তার -কে বাদামি, নিউট্রাল তারকে হালকা নীল এবং আর্থ তারকে সবুজ বা হলুদ রং -এর অন্তরিত (স্ট্রিপ) করা হয় । চিত্রটি দেখুন-

আর্থিং তারের রঙ্গিন সংকেত লিপি

প্রশ্নঃ বাসা-বাড়ির এপ্লায়ান্সে আর্থিং সহ একটি ইলেকট্রিক্যাল ওয়্যারিং দেখাও

বাসা-বাড়ির এপ্লায়ান্সে আর্থিং সহ একটি ইলেকট্রিক্যাল ওয়্যারিং

প্রশ্নঃ আর্থিং এবং নিউটাল এর মাঝে পার্থক্য কি?

** আর্থিং সরাসরি মাটির সাথে যুক্ত থাকে আর নিউট্রাল লাইন পাওয়ার স্টেশনে বা ট্রান্সফরমারেই ফেরত যায়।
** নিউট্রাল কারেন্টের জন্য অপেক্ষাকৃত ছোট পথ (সার্কিট) প্রদান করে আর আর্থিং ব্যবহারকারীকে নিরাপত্তা প্রদান করে।
** নরমাল অপারেশনে নিউট্রালে কারেন্ট প্রবাহিত হয় আর আর্থিং শুধু বিপদজনক পরিস্থিতিতে শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে দ্রুত বিদ্যুৎ মাটিতে পৌছিয়ে দেয়। এ সময় ফিউজ জ্বলে যায় এবং ব্যবহারকারী ও যন্ত্র রক্ষা পায়।

প্রশ্নঃ 3-পিন প্লাগে আর্থ পিন বড় ও মোটা কেন?

উত্তর:- 3-পিন প্লাগে দুটো সরু পিন দিয়ে কারেন্ট যায়-আসে, আর অপেক্ষাকৃত মোটা তৃতীয়টির সঙ্গে আর্থের সংযোগ করা থাকে । থ্রি-পিন প্লাগে আর্থ বা গ্রাউন্ড পিন বাকী দুইটি পিনের চেয়ে লম্বা থাকে, কারণ হলো প্লাগটি যেনো সকেটে লাগানোর সময় আর্থ পিনটি সবার আগে কানেক্টেড হয় এবং খোলার সময় সবার শেষে ডিসকানেক্টেড হয়। এর ফলে বৈদ্যুতিক যন্ত্রের গায়ে যদি কোন স্ট্যাটিক চার্জ জমা হয় তা মাটিতে চলে গিয়ে যন্ত্রটিকে সুরক্ষিত রাখে । আর আর্থ পিন অপেক্ষাকৃত মোটা করা হয় যাতে ভুল করে এটিকে লাইভ বা নিউট্রাল ছিদ্রে প্রবেশ করানোর চেষ্টা না করা হয় ।  সবুজ রং -এর  তারের একটি প্রান্ত প্লাগের আর্থ পিন -এর সঙ্গে লাগিয়ে অন্য প্রান্ত হিটার, ইস্ত্রি, টেবিল পাখা প্রভৃতি ধাতুর খোলওয়ালা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির বাইরের আবরণের সঙ্গে লাগাতে হয়।

প্রশ্নঃ বাসা বাড়িতে আর্থিং বা গ্রাউন্ডিং এর নিয়ম লিখ।

উত্তর:- প্রয়োগভেদে আর্থিং এর নিয়মগুলো আলাদা আলাদা। বাসাবাড়ীতে আর্থিং করা হয় মাটিতে রড ঢুকিয়ে। সেই রডের উপরের প্রান্তে তার যুক্ত করে মেইন ডিস্ট্রিবিউশন প্যানেলের নিউট্রালের সাথে সেটি ভালোভাবে যুক্ত করা হয়। শুকনো মাটি, পাথুরে মাটি বা বালিজুক্ত মাটিতে পাঁচফুটের বেশি গর্ত খুঁড়ে সেখানে পানি এবং লবনের মিশ্রন তৈরি করে দিতে হয়। অতপর একটা ধাতুর প্লেট রেখে তার সাথে আর্থিং এর তার যুক্ত করে বাইরে এনে মেইন ডিস্ট্রিবিউশন বোর্ডের নিউট্রালের সাথে কানেক্ট করতে হয়। চিকন জি-আই পাইপ দিয়ে আর্থিং করলে কেমন হবে?  কাজটি টেকনিক্যাল, আপনি নিজে না করতে পারলে একজন ভালো ইলেক্ট্রিশিয়ানের মাধ্যমে করানো উচিৎ । যেসব ইলেক্টিক যন্ত্রপাতির বহিরাবরণ ধাতুর তৈরি, সেসব যন্ত্রপাতির বডি আর্থিং করতে হয়। বাসাবাড়ী, দোকান ইত্যাদি লো-ভোল্টেজ (২২০/৪৪০ ভোল্ট) গ্রাহকের জন্য আর্থ রেজিস্টেন্সের মান ৫ ওহম এর নিচে হতে হবে।

প্রশ্নঃ আপনার কম্পিউটার কি আর্থ করা?

উত্তর:- অনেকের কম্পিউটারে মনিটর (CRT) স্ক্রিনে টেস্টার লাগালে জ্বলে, হাত দিলে শক করে। এটা হয় যদি আর্থ করা না থাকে। কোনো ইলেকট্রিশিয়ানকে ডেকে আপনার বাড়ির আর্থিং ঠিক আছে কিনা তা চেক করে নিতে পারে। আর্থিং না থাকার কারণে অনেক সময় কোনো কোনো হার্ডওয়্যার ঠিকমতো কাজ নাও করতে পারে। কম্পিউটার আর্থ করা না থাকলে  মনিটর কাঁপতে পারে, কেসিং-এর বডি শক করতে পারে এমনকি মাদারবোর্ড বা হার্ডডিস্কেরও ক্ষতি হতে পারে। তাই ভালোমানের আর্থিং কম্পিউটারের জন্য অতীব প্রয়োজনীয়।

প্রশ্নঃ  আর্থিং সুইস কি?

উত্তর:- ট্রান্সমিশন লাইন/সাবস্টেশনে রক্ষণাবেক্ষণের সময় লাইনে বিদ্যমান চার্জিং কারেন্টকে মাটিতে পাঠানোর জন্য যে সুইস ব্যবহৃত হয় সেটি আর্থিং সুইস (ES) নামে পরিচিত। আগে আইসোলেটর দিয়ে সার্কিট ডিসকানেক্ট করে আর্থ সুইস দ্বারা লাইনকে আর্থের সাথে সংযোগ করা হয়।

প্রশ্নঃ  আর্থিং রেজিস্ট্রেন্স কমানোর পদ্ধতি কি?

উত্তরঃ ১। মাটির আদ্রতা ঠিক রাখা ।

           ২। চারকল ও লবণ ব্যবহার করা।

           ৩।  আর্থিং ইলেক্ট্রোড এর সাইজ বৃদ্ধি করা।

            ৪। ডাবল আর্থিং ইলেক্ট্রোড ব্যবহার করা।

প্রশ্নঃ  আর্থিং যন্ত্রপাতি কি কি ?

উত্তর ঃ ১। আর্থিং ক্যাবল  ২। আর্থিং লিড ও ৩। আর্থিং ইলেক্ট্রোড

প্রশ্নঃ  আর্থিং ইলেক্ট্রোড এর উপর ভিত্তি করে আর্থিং কত প্রকার ?

উত্তর ঃ আর্থিং ইলেক্ট্রোড এর উপর ভিত্তি করে আর্থিং চার প্রকার

  1. রড আর্থিং (দুর্বল)(GI Rod 7 - 10 Feet)
  2. পাইপ আর্থিং (খুব ভাল) ( GI Pipe 8 - 20 Feet)
  3. প্লেট আর্থিং (খুবই ভাল) ( Copper Plate for Industry)
  4. স্ট্রিপ আর্থিং (নরমাল) ( Wire Earthing)
  • রড আর্থিং (দুর্বল)ঃ বাসাবাড়িতে রড মাটিতে ঢুকিয়ে মেইন ডিস্ট্রিবিউশন প্যানেলের নিউট্রালের সাথে রডের উপরের প্রান্তে তার ভালভাবে যুক্ত করলে তাকে রড আর্থিং বলে। 

সাধারণত বালু যুক্ত মাটি, শুকনো মাটি, পাথরে মাটিতে পাঁচ ফুটের বেশী গর্ত খুঁড়ে সেখানে পানি এবং লবণের মিশ্রন তৈরী করে দিতে হয়। এরপর ধাতুর রড বা জি আই পাইপ রেখে এর সাথে আর্থিং এর তার যুক্ত করে বাহিরে এনে মেইন ডিস্ট্রিবিউশন বোর্ডের নিউট্রালের সাথে কানেক্ট করতে হয়। 

যে সব ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতির বহিরাবরণ ধাতুর তৈরী সে সব যন্ত্রপাতির বডি  আর্থিং করতে হয়। এ ছাড়া বাসাবাড়ি , দোকান, গ্রাহক পর্যায়ে লো- ভোল্টেজ (২২০/৪৪০ ভোল্ট) গ্রাহকের জন্য রেজিস্ট্যান্স ৫ ওহমের কম হতে হবে। 

  • পাইপ আর্থিং (খুব ভাল)ঃ আর্থিং পাইপ সাধারনত আমরা গ্যালভানাইজ্ড আয়রোন (জি আই) ব্যবহার করি থাকি। কারন এই জি আই পাইপ সহজে মরিচা ধরে না, লং টাইম চলে এবং দামে সস্তা। তবে কপার পাইপও ব্যবহার করা যায়। জি আই আর্থিং পাইপ সর্ব নিম্ন ১.৫ ইঞ্চি ব্যাস হতে হবে তবে ২ ইঞ্চি হলে ভালো। আর্থিং পাইপের লম্বা হবে  আর্থিং এর ধরনের উপর তবে আমরা সর্বনিম্ন ৭ ফিট লম্বা দিয়ে থাকি। পাইপের গায়ে ছোট ছোট ছিদ্র করে দিতে হবে যাতে পাইপের মুখে পানি ঢাললে যেন আসে পাসের মাটি ভিজে যায়।

পাইপ আর্থিং করতে যা যা লাগবে:-

  1. জি আই পাইপ ১.৫ ইঞ্চি -     সর্বনিম্ন ৭ ফিট।   ( কপার পাইপও ব্যবহার করা যাবে) 
  2. কপার তার ০৮ নং          -     প্রয়োজন মত।     ( জি আই হলে ০৬ নং)
  3. নাটবোল্ট বা ক্লাম্প          -     ০১ টি।
  4. চারকোল (কাঠ কয়লা)    -     ৫- ৭ কেজি।
  5. লবন                                -    ৫- ৭ কেজি।

যেভাবে পাইপ আর্থিং করবো:-

  • প্রথমে উপরের মালামাল গুলো সংগ্রহ করি।
  • তারপর জায়গা র্নিবাচন করবো, নির্বাচিত জয়গা  বিল্ডিং হতে ৫-৭ ফিট দূরে হতে হবে।
  • যদি জয়গা নরম ও শেঁতশেতেঁ হলে টিওবয়েলের বরিং করার মত করে পাইপ মাটিতে ঢুকিয়ে দিতে হবে। 
  • তারপর পাইপের মাথায় নাটবোল্ট বা ক্লাপ দিয়ে আর্থ তার খুব ভালো করে লাগিয়ে দিতে হবে।
  • যদি মাটি শুকনো এবং শক্ত হয় তাহলে ৮-১২ ইঞ্চি গোল বা চারকোনা গর্ত করতে হবে এবং গভিরতা আর্থ পাইপের সমান হবে। 
  • তারপর প্রচুর পরিমান পানি ঢালতে হবে এবং পাইপটি গর্তের মাঝখানে সেট করতে হবে। 
  • তারপর স্তরে স্তরে চারকোল ও লবন দিয়েেএবং সর্বশেষ গর্তটি মাটি দিয়ে পূর্ন করে দিতে হবে।
  • এখন পাইপের মাথায় নাটবোল্ট বা ক্লাপ দিয়ে আর্থ তার খুব ভালো করে লাগিয়ে দিতে হবে।
  • তারপর পাইপের মুখে সিমেন্টের চেম্বার করে দিতে হবে এবং পাইপের মাথায় নেট দিয়ে একটি ফানেল সেট করতে হবে যাতে সহজে পাইপে পানি ঢালা যায় এবং পাইপে ময়লা ঢুকতে না পারে।  

তবে পাইপ আর্থিং করার সময় দুটি বিষয়ের উপর খেয়াল রাখতে হবে। ১. মাটির ধরন, যেই জায়গায় আথিং করবেন সেখানকার মাটি যেন একটু ভিজা ও শেঁত শেঁতে  হয়। ২. আর্থ রেজিস্ট্যান্স, বাসাবাড়ি বহুতল ভবন, ছোট ও মাঝারি কলকারখানার জন্য আর্থ রেজিস্ট্যান্স ৫-৮ ওহম এর মধ্যেহতে হবে। যদি আর্থ রেজিস্ট্যান্স পরিমাপ করে ৫-৮ ওহম এর মধ্যে না আসে তাহলে ৫-৮ ফিট দূরে আরো একটি পাইপ আর্থিং করতে হবে।

  • প্লেট আর্থিং (খুবই ভাল)ঃ আর্থিং প্লেট সাধারনত আমরা গ্যালভানাইজ্ড আয়রন (জি আই) বা কপার ব্যবহার করি থাকি। কারন এই জি আই বা কপার প্লেট সহজে মরিচা ধরে না, লং টাইম চলে এবং দামে সস্তা।  জি আই আর্থিং প্লেট সর্ব নিম্ন ১ ইঞ্চি পুরু ও ২ ফুট আয়তাকার হতে হবে ।  আর্থিং প্লেটে পাইপের অংশ লম্বা হবে  আর্থিং এর ধরনের উপর তবে আমরা সর্বনিম্ন ৭ ফিট লম্বা দিয়ে থাকি। পাইপের গায়ে ছোট ছোট ছিদ্র করে দিতে হবে যাতে পাইপের মুখে পানি ঢাললে যেন আসে পাসের মাটি ভিজে যায়। এটি সাধারণত কলকারখানা, পাওয়ার প্লান্ট ও বড় সাব - স্টেশনে করা হয়। 
  •  উইকিপিডিয়া ও ইন্টারনেট হতে তথ্য, ছবি সংগৃহীত



ট্রান্সফরমার এর রেটিং কেন KVA তে প্রকাশ করা হয়? খুবই সহজে জেনে নিন, গদবাধা বই এর সংঙ্গা থেকে বের হয়ে। 

 

সাম্প্রতিক পোস্ট সমূহ

Recent Posts Widget