Tuesday, December 26, 2023

ট্রান্সফরমার এর রেটিং কেন KVA তে প্রকাশ করা হয়? খুবই সহজে জেনে নিন, গদবাধা বই এর সংঙ্গা থেকে বের হয়ে।

 পাওয়ার সিস্টেম চাকুরী পরীক্ষায় খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করা হয়, সেটা হলো ট্রান্সফরমার এর রেটিং কেন KVA তে প্রকাশ করা হয়? আজ একটি গদ বাধা বইয়ের থিওরি বাদে একটু জানার চেষ্টা করি,


আমরা, যে একটিভ পাওয়ার এর সূত্র জানি , সেটা হলো , P=VxIxCos(theta) এখানে, Cos(theta) কে পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে । এই পাওয়ার ফ্যাক্টর মূলত লোডের উপর নির্ভর করে । লোড ইন্ডাকটিভ না ক্যাপাসিটিভ না রেজিস্টিভ । এই বিষয়ক আমার ইউটিউব চ্যানেলে একটি বিস্তারিত ভিডিও আছে দেখে নিতে পারেন ।








এই পাওয়ার ফ্যাক্টর কে কিভাবে উন্নতি করা হয় সে বিষয়েও একটি ভিডিও দেওয়া আছে দেখে নিতে পারেন ।
যাই হোক, আলোচনা তে আসি, এখন এই পাওয়ার ফ্যাক্টর যেহেতু গ্রাহক প্রান্ত থেকে নির্ধারিত হয় সেহেতু ট্রান্সফরমার জানেই না তার আউটপুট এ কি মানের লোড লাগানো হচ্ছে । তাহলে সে কিভাবে কি কারেন্ট বা ভোল্টেজ দিবে সেটি কিভাবে নির্ধারিত হবে? 
 

আসলে এই কারেন্ট বা ভোল্টেজ কি দিবে এটিও নির্ধারিত হয় লোডের উপর ।
একটু ব্যাখ্যা করি, লোড যত বাড়বে কারেন্ট তত বেশী নিবে আবার বেশী কারেন্ট দিলে ভোল্টেজ ড্রপ ও বাড়বে ফলে ট্রান্সফরমার ও সাথে সাথে  লোডে ভোল্টেজ কম পাবে ।

এখন তাহলে বুঝতেই পারছেন, পাওয়ার ফ্যাক্টর এর কারনে লোডের ভোল্টেজ/কারেন্ট কম বা বেশী হতে পারে কারন আপনারা ভিডিওটি দেখে নিয়েছেন অথবা কেন হয় সেটা জানেন ।

এখন আসি, তাহলে একটি ট্রান্সফরমার যখন তৈরি করা হয় তাহলে মূলত হিসাব করা হয় এটি দিয়ে কত লোড চালানো যাবে বা এটি কত ভোল্টেজ সিস্টেম এর জন্য তৈরি করা হয় ।

ধরেন, একটি ১১০০০/৪৪০ ভোল্ট, ২০০ কেভিএ ট্রান্সফরমার তৈরি করা হবে । তাহলে প্রথমে অনেকগুলো ডিজাইন মাথায় আনতে হবে, কোর সাইজ কেমন হবে, কত আর এম এর কয়েল প্যাচাতে হবে, ইনসুলেশন কেমন হবে, কুলিং কেমন হবে, রেডিয়েটর কেমন হবে, ভেক্টর গ্রুপ কি হবে, পারসেন্টেজ ইম্পিডেন্স কেমন হবে, বুশিং কেমন হবে ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক বিষয়। 

আজ এত বিষয় নিয়ে আলোচনা করব না। এইগুলা পরে একদিন লিখব ।

এখন ধরেন, প্রাইমারি তে ১১০০০ ভোল্ট তাহলে এটি তে সেই মানের ইনসুলেশন বসাতে হবে এই জন্য ভোল্টেজ জানা প্রয়োজন, আবার সেকেন্ডারির জন্যও একই ভাবে ৪৪০ ভোল্ট দ্বার ইনসুলেশন কত হবে সেটা জানা যাবে। 

এখন তাহলে, কয়েল প্যাচাতে কারেন্ট কত হবে জানা প্রয়োজন, এই কারনে, কত ক্যাপাসিটির ট্রান্সফরমার বানাবো সেটা জানতে হবে, ধরেই নিচ্ছি, ২০০ কেভিএ । তাহলে আমাদের রেটেড কারেন্ট হবে, 

I=(200x1000)/(1.732x11000)=10.497 এম্পিয়ার প্রাইমারি সাইড এর রেটেড কারেন্ট

I=(200x1000)/(1.732x440)=২৬২.৪৩ এম্পিয়ার সেকেন্ডারি সাইড এর রেটেড কারেন্ট

এই কারেন্ট দ্বারা আমরা বুঝতে পারব কি মানের কপার তার ব্যবহার করা যাবে, বা কত আর এম এর তার ব্যবহার করতে হবে ।

সাথে সাথে আমরা এটাও বুঝলাম , যত পাওয়ার ফ্যাক্টর এর লোড ই দি না কেন এই ট্রান্সফরমার দিয়ে ২৬২ অ্যাম্পিয়ার এর উপর লোড দেওয়া যাবে না এবং তখন ভোল্টেজ ৪৪০ ভোল্ট এর আশে পাশে থাকবে ।

এছাড়া, এই ভোল্টেজ দ্বারা, বোঝা যাবে এটির কোর লোস কত হবে এবং কারেন্ট দ্বারা বোঝা যাবে লোডেড অবস্থায় কপার লস কত হবে, তাহলে দুইটি বাদ দিয়ে লোডেড অবস্থায় সর্বচ্চো কত কিলোওয়াট আউটপুট পাওয়া সম্ভব সেটি লোডের অবস্থার পাওয়ার ফ্যাক্টর দিয়ে গুন করে ব্যবহার করা যাবে। 

এইসব কারন এই মূলত ট্রান্সফরমার এর রেটিং KVA তে প্রকাশ করা হয়, কিলোওয়াট এ নয় । অর্থাৎ KVA তে প্রকাশ করা হলে, নির্মানকারী গণ সঠিকভাবে ডিজিইন করতে পারবে ও ব্যবহারকারীও বুঝতে পারবে এটি কোন লোড এ কিভাবে চালাতে হবে ।

আশা করি বুঝতে পারছেন, কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। 

কালার কোড এর মাধ্যমে কিভাবে রেজিস্ট্ররের মান নির্ণয় করা যায়? রেজিস্ট্রর এর কালার দেখে যেভাবে মান নির্ণয় করা হয়।

Sunday, December 24, 2023

Auto-Reclosure কি কাজ, আইসোলেটর কি, কি কাজ করে ইত্যাদি জানতে পড়ুন

 

Auto-Reclosure কি কাজ করে থাকে?

উত্তরঃ বর্তমান বিশ্বে বিদ্যুৎ শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে সাথে আন্তঃসংযোগ ব্যবস্থার প্রসার ঘটেছে। প্রায় সকল দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা গ্রীড সিস্টেমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আন্তঃসংযোগ ব্যবস্থায় কোন ত্রুটি দেখা দিলে দুই প্রান্তের সার্কিট ব্রেকার ট্রিপ করে এবং ত্রুটি মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকে, যা নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের ক্ষেত্রে কাম্য নয়। বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বিতরণ ব্যবস্থায় ওভারহেড লাইনে অধিকাংশ ত্রুটি ট্রাঞ্জিয়েন্ট বা ক্ষণস্থায়ী প্রকৃতির। সমীক্ষায় দেখা গেছে প্রায় ৯০% ত্রুটি যেমনঃ ব্জ্রপাত, পাখি, গাছের শাখা-প্রশাখা ইত্যাদি সাময়িক ভাবে লাইনে পতনের ফলে সংঘটিত ত্রুটি কয়েক মুহুত পরে অর্থাৎ খুব তাড়াতাড়ি আপনাআপনি ঠিক হয়ে যায়। এক্ষেত্রে সাধারন সার্কিট ব্রেকারে ত্রুটি দেখা দেওয়া মাত্র ট্রিপ করে যায় এবং পরবর্তীতে ত্রুটি মুক্ত হলেও আপনা আপনি বা স্বয়ংক্রিয়ভাবে  সার্কিট ব্রেকার পুনঃসংযোগ স্থাপন করে না বরং পুনঃসংযোগের জন্য অপারেটরের হস্থক্ষেপের প্রয়োজন হয়। কাজেই উল্লেখিত অসুবিধা দূর করনের নির্মিতে এবং নিরবছিন্ন সরবরাহ ব্যবস্থার নিশ্চয়তা বিধান লক্ষে অটো-রিক্লোজার ব্যবহার করা হয়।

 

অটো-রিক্লোজার মূলত একটি সার্কিট ব্রেকার, যাতে নিদিষ্ট সময় অন্তর অন্তর নিদিষ্ট কয়েকবার অটো-রিক্লোজিং এর ব্যবস্থা রয়েছে। 

লাইনে কোন ত্রুটি দেখা দিলে এটি কিছু সময়ের ব্যবধানে (সাধারণত ০.৩ সেকেন্ড) লাইনকে বিচ্ছিন্ন ও পুনঃ সংযোগ করে থাকে। পর পর তিনবার এই প্রচেস্টা চালানোর পর ত্রুটিটি মুক্ত না হলে এটি লাইনকে পুনঃ সংযোগ করে না। এক্ষেত্রে রিক্লোজার পর পর তিনবার ওপেন থেকে ক্লোজ হওয়ার জন্য ১৫ থেকে ১২০ সেকেন্ড সময় নেয়। তিনবারের পরেও যদি ব্রেকার ট্রিপ করে তবে এধরনের সার্কিট ব্রেকার আগের মতই ওপেন হয়ে থাকবে এবং বন্ধ হবে না। তখন ধরে নেওয়া হয় যে, লাইনে কোন বড় ধরনের স্থায়ী ত্রুটি সংঘটিত হয়েছে। 

এক্ষেত্রে অপারেটরের উপস্থিতিতে লাইনের ত্রুটি নির্ধারণ ও মেরামত করে অটো-রিক্লোজার/সার্কিট ব্রেকার চালু করতে হয়। ক্ষণস্থায়ী ত্রুটি অটো-রিক্লোজার এর তিনবারের চেস্টায় আপনা আপনিই শেরে যায়। 

সাধারণত দুই ধরনের অটো-রিক্লোজিং ব্যবস্থার প্রচলন আছেঃ

১। সিঙ্গেল ফেজ অটো-রিক্লোজিং 

২। থ্রী ফেজ অটো-রিক্লোজিং 

 প্রশ্নঃ আইসোলেটর কি কাজ করে থাকে?

উত্তরঃ আইসোলেটর এমন একটি সুইচ, যাকে লোড বিহীন অবস্থায় অন বা অফ করতে হয়। এতে আর্ক নির্বাপণের বিশেষ কোন ব্যবস্থা থাকে না। সার্কিটে কারেন্ট প্রবাহ চলাকালে আইসোলেটর ওপেন করা যায় না। যদি সার্কিটে অতিরিক্ত লোড কারেন্ট থাকে এবং সে সময় আইসোলেটর খোলা হয়, তবে আর্ক এর সৃষ্টি হয় এবং আর্থে সহজেই ফ্ল্যাশ ওভার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর ফলে পোলের ইন্সুলেটর ও আইসোলেটর কন্ট্রাকট ক্ষতি গ্রস্থ হয়। এমনকি আইসোলেটরের আগুন গিয়ে এটির পরিচালনাকারীকে আহত করতে পারে। 

 

আইসোলেটরের প্রকার ভেদ নিম্মরুপ ঃ

১। ভারটিক্যাল ব্রেক টাইপ আইসোলেটর

২। হরিজন্টাল ব্রেক টাইপ আইসোলেটর( সেন্ট্রাল ব্রেক বা ডাবল ব্রেক টাইপ আইসোলেটর)

৩। ভারটিক্যাল প্যান্টোগ্রাফ টাইপ আইসোলেটর

 

আইসোলেটর বা সার্কিট খোলা ও বন্ধ করার সময় করনীয়ঃ

(ক) আইসোলেটর বা সার্কিট খোলার সময় করনীয়ঃ

প্রথমেই সার্কিট ব্রেকার ওপেন করতে হবে

তারপর আইসোলেটর ওপেন বা অফ করতে হবে

অবশেষে আরথিং সুইচ বন্ধ করতে হবে (যদি থাকে) 

(খ) আইসোলেটর বা সার্কিট বন্ধ করার সময় করনীয়ঃ

প্রথমেই আরথিং সুইচ ওপেন করতে হবে (যদি থাকে) 

তারপর আইসোলেটর বন্ধ করতে হবে

অবশেষে সার্কিট ব্রেকার বন্ধ করতে হবে

  উইকিপিডিয়া ও ইন্টারনেট হতে তথ্য, ছবি সংগৃহীত। 

 বাসবার এর সাইজ কিভাবে নির্ণয় করতে হয় জানতে পড়ুন 

সাম্প্রতিক পোস্ট সমূহ

Recent Posts Widget